অনলাইন গণমাধ্যমের নিবন্ধন দেওয়া শুরু

দেশের ৪৪টি অনলাইন নিউজপোর্টালের নিবন্ধন দেওয়ার মধ্য দিয়ে অনলাইন গণমাধ্যমগুলোর নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করেছে সরকার।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 July 2020, 06:10 PM
Updated : 30 July 2020, 06:10 PM

তথ্য মন্ত্রণালয় বৃহস্পতিবার রাতে এসব নিউজপোর্টালের নিবন্ধন দিয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে।

সেখানে বলা হয়েছে, অনলাইন নিউজপোর্টাল নিবন্ধন (রেজিস্ট্রেশন) একটি চলমান প্রক্রিয়া। যে সমস্ত অনলাইন নিউজপোর্টালের পক্ষে সরকার নির্ধারিত সংস্থাগুলোর অনাপত্তি পাওয়া গেছে, শুধু সেগুলোর তালিকা প্রকাশ করা হল এবং তাদেরকে রেজিস্ট্রেশনের অনুমতি দেওয়া হল।

“পরবর্তীতে অন্যান্য অনলাইন নিউজপোর্টালগুলোর ব্যাপারে অনাপত্তি প্রতিবেদন প্রাপ্তির সঙ্গে সঙ্গে সেগুলোর নিবন্ধনের অনুমতি দেওয়া হবে। তাই এ বিষয়ে কোনো উদ্বেগের কারণ নেই।”

অনাপত্তিপ্রাপ্ত নিউজপোর্টালগুলোকে সরকারি বিধি-বিধান অনুসরণ করে নির্ধারিত ফি জমা দিয়ে আগামী ২০ কার্যদিবসের মধ্যে নিবন্ধন সম্পন্ন করার অনুরোধ করেছে তথ্য মন্ত্রণালয়।

অনলাইন গণমাধ্যমগুলোকে নিবন্ধন দেওয়ার জন্য ২০১৫ সালের শেষ দিকে থেকে আবেদন নেওয়া শুরু করে সরকার। বেশ কয়েক দফা সময় বাড়িয়ে ২০১৬ সালেও সেই আবেদন নেওয়া হয়।

তখন সরকার বলেছিল, ‘অপসাংবাদিকতা’ রোধে সব অনলাইন গণমাধ্যমকে নিবন্ধনের আওতায় আনা হবে।

“বাংলাদেশের অনলাইন পত্রিকার প্রকাশকদের পত্রিকা প্রকাশের ক্ষেত্রে সরকারি সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা এবং অপসাংবাদিকতা রোধ করার লক্ষ্যে সরকার নিবন্ধন কার্যক্রম চালু করেছে।”

বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয়ে এক অনুষ্ঠানে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, অনলাইন নিউজপোর্টাল নিবন্ধন বা রেজিস্ট্রেশন একটি চলমান প্রক্রিয়া। যে সমস্ত অনলাইন নিউজ পোর্টালের পক্ষে সরকার নির্ধারিত সংস্থাগুলোর অনাপত্তি পাওয়া গেছে, সেগুলো প্রাথমিক রেজিস্ট্রেশনের অনুমতি পাবে।

মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, “আজ (বুহস্পতিবার) আমাদের ওয়েবসাইটে যে তালিকা আপলোড হবে, সেখানে অনেক প্রতিষ্ঠিত অনলাইনের নাম হয়ত দেখা যাবে না, তার কারণ এটি নয় যে তাদের ব্যাপারে ‘রিপোর্ট নেগেটিভ’। তাদের ব্যাপারে এখনও প্রতিবেদন না পৌঁছানোই এর কারণ।

 

“পরবর্তীতে অন্যান্য অনলাইন নিউজ পোর্টালের ব্যাপারে অনাপত্তি প্রতিবেদন পাওয়ার সাথে সাথে সেগুলোকে নিবন্ধনের অনুমতি দেওয়া হবে। তাই এ বিষয়ে কোনো উদ্বেগের কারণ নেই, কারও নাম বাদ পড়লেও হতাশ হওয়ার কারণ নেই। কারণ সাড়ে তিন হাজারের মধ্যে মাত্র কিছু নাম আজ আপলোড হবে, এটি চলমান প্রক্রিয়া।”

সবার আগে সংবাদ পরিবেশনের প্রতিযোগিতা করতে গিয়ে অনেক সময় ভুল ও অসত্য সংবাদ পরিবেশিত হয় বলে মন্তব্য করেন তথ্যমন্ত্রী।

তিনি বলেন, “একইসাথে আমরা দেখতে পেয়েছি বিভিন্ন সময় কিছু অনলাইন পোর্টাল উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে গুজব ছড়ানো, চরিত্র হনন এবং সাম্প্রদায়িক উসকানি দেওয়ার কাজে লিপ্ত হয়। এই বিষয়গুলোকে মাথায় রেখেই তদন্ত করা হয়েছে।

“যারা ইতোপূর্বে এগুলো করেছেন, তাদের ব্যাপারে সেই ধরনের রিপোর্টই আসছে। যেগুলোর ব্যাপারে ‘নেগেটিভ রিপোর্ট’ আছে সেগুলোর ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যারা যে ধরনের কাজ করেছেন, সেই ধরনের রিপোর্টই আসছে। সেই রিপোর্টের প্রেক্ষিতে আমরা অনলাইনগুলো রেজিস্ট্রেশন দিচ্ছি।”