চাঁদপুর রুটের এই লঞ্চটির ধাক্কায় গত ২৯ জুন ঢাকা সদরঘাটের কাছে বুড়িগঙ্গা নদীতে মুন্সীগঞ্জ রুটের মর্নিং বার্ড নামে একটি ছোট লঞ্চ ডুবে অন্তত ৩৪ জনের মৃত্যু হয়।
ওই ঘটনায় নৌপুলিশের মামলার পর গত ৮ জুলাই পুলিশ গ্রেপ্তার করে সোয়াদকে।
এরপর পুলিশ হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে গত ১২ জুলাই তাকে পাঠানো হয় কারাগারে। সেদিন থেকে কারাগারে রয়েছেন তিনি।
গত ১৫ জুলাই ঢাকার বিচারিক হাকিম আদালতে জামিনের আবেদন করেছিলেন সোয়াদ, কিন্তু সেই আবেদন নাকচ হয়েছিল।
ওই আদেশের বিরুদ্ধে জজ আদালতে যান আসামি সোয়াদ। বুধবার তার উপর ভার্চুয়াল শুনানি হয়।
আসামিপক্ষে জামিন আবেদনে শুনানিতে ছিলেন সাবেক আইন প্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলাম।
তিনি শুনানিতে বলেন, এ মামলার সবগুলো ধারাই জামিনযোগ্য। লঞ্চ দুর্ঘটনার সঙ্গে মালিকের কোনো যোগ নেই। লঞ্চে কোনো ত্রুটি থাকলে তাকে দায়ী করা যেত। তাছাড়া সামনে ঈদ উৎসব। তাই তাকে জামিন দেওয়া হোক।
অন্যদিকে আসামির জামিনের বিরোধিতা করে বক্তব্য রাখেন এ আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর সামশুর রহমান।
শুনানি শেষে জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ শওকত আলী চৌধুরী আসামি সোয়াদের জামিন মঞ্জুর করেন বলে আদালতের সাঁটলিপিকার বীরেন সরকার জানিয়েছেন।
এই মামলায় গ্রেপ্তার আসামিদের মধ্যে সোয়াদই প্রথম জামিন পেলেন।
আসামিদের মধ্যে রয়েছেন ময়ূর-২ লঞ্চের মাস্টার আবুল বাশার, মাস্টার জাকির হোসেন, চালক শিপন হাওলাদার, শাকিল হোসেন, হৃদয় ও সুকানি নাসির মৃধা।
নৌ-পুলিশের এসআই শামছুল আলমের করা মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ২৮০, ৩০৪ (ক), ৩৩৭ ও ৩৪ ধারায় অবহেলাজনিত মৃত্যুসহ কয়েকটি অভিযোগ আনা হয়েছে।