বন্যাকবলিত জেলার জেলা প্রশাসন থেকে ২৭ জুলাই পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য নিয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে।
ঢাকা, গাজীপুর, টাঙ্গাইল, মানিকগঞ্জ, ফরিদপুর, মুন্সিগঞ্জ, রাজবাড়ী, মাদারীপুর, শরীয়তপুর, কিশোরগঞ্জ, ময়মনসিংহ, নেত্রকোণা, জামালপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, রাজশাহী, নওগাঁ, নাটোর, সিরাজগঞ্জ, বগুড়া, রংপুর, কুড়িগ্রাম, নীলফামারী, গাইবান্ধা, লালমনিরহাট, সিলেট, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ এবং সুনামগঞ্জে বন্য হয়েছে।
এসব জেলার ১৫৩টি উপজেলার ৯০৮টি ইউনিয়নের নয় লাখ ৮৪ হাজার ৮১৯টি পরিবারের ৪৭ লাখ দুই হাজার ১৭৯ জন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে মানবিক সহায়তা হিসেবে এ পর্যন্ত সাত হাজার ১৪৭ মেট্রিক টন চাল এবং নগদ দুই কোটি দুই লাখ ১২ হাজার ৭০০ টাকা বিতরণ করা হয়েছে।
আর শিশু খাদ্য কিনতে ৩৪ লাখ ৯৪ হাজার টাকা এবং গো-খাদ্য কিনতে ৫৭ লাখ ৫৯ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়েছে।
মন্ত্রণালয় বলছে, এর বাইরে ৮২ হাজার ১২টি শুকনো ও অন্যান্য খাবারের প্যাকেট বিতরণ করা হয়েছে। ঢেউটিন বিতরণ করা হয়েছে ১০০ বান্ডিল এবং ঘর মেরামতের জন্য দেওয়া হয়েছে তিন লাখ টাকা।
বন্যাকবলিত জেলাগুলোতে এক হাজার ৬০৩টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এ পর্যন্ত আশ্রয়কেন্দ্রে ৮৯ হাজার ৩০০ জন আশ্রয় নিয়েছেন। আশ্রয়কেন্দ্রে ৭৫ হাজার ৭২০টি গবাদিপশু আনা হয়েছে।
বন্যাকবলিত জেলাগুলোতে এ পর্যন্ত ৯০১টি মেডিকেল টিম গঠন করা হলেও বর্তমানে ৩৮৫টি চালু আছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।