ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিচারকি হাকিম মনিরুজ্জামান শিকদার সোমবার ভার্চুয়াল কোর্টের শুনানিতে সালামের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন।
এ মামলায় সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেপ্তার সালামকে তিন দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের পর গত ৯ জুলাই কারাগারে পাঠায় আদালত।
তার আইনজীবী সুলতান নাসের জমিন শুনানিতে বলেন, “এজাহারে তার নাম নেই। তার দোষে এ দুঘর্টনা ঘটেনি। তিনি নিজে ওই লঞ্চ চালাচ্ছিলেন না। তিনি চালককে অনেকবার সাবধান করলেও চালক তার কথা শোনেনি।”
এর বিরোধিতা করে রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি আনোয়ারুল কবির বাবুল বলেন, “দুর্ঘটনার দায় এ আসামি এড়াতে পারেন না। তাকে কারাগারে রাখা হোক।”
দুই পক্ষর বক্তব্য শুনে বিচারক সালামের জামিন আবেদন নাকচ করে দেন।
গত ২৯ জুন ঢাকা সদরঘাটের কাছে বুড়িগঙ্গা নদীতে ময়ূর-২ লঞ্চের ধাক্কায় মুন্সীগঞ্জ থেকে যাত্রী নিয়ে আসা মর্নিং বার্ড নামে একটি ছোট লঞ্চ ডুবে অন্তত ৩৪ জনের মৃত্যু হয়।
ওই ঘটনায় নৌ-পুলিশে এসআই শামছুল আলম বাদী হয়ে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় মামলা করেন।
ময়ূর-২ লঞ্চের মালিক মোসাদ্দেক হানিফ সোয়াদ, মাস্টার আবুল বাশার, মাস্টার জাকির হোসেন, স্টাফ শিপন হাওলাদার, শাকিল হোসেন, হৃদয় ও সুকানি নাসির মৃধার নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় আরও পাঁচ থেকে ছয়জনকে সেখানে আসামি করা হয়।
তারা সবাই এখন গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন বলে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীব বাবুল জানান।