রোববার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ৯ অগাস্ট থেকে১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অনলাইনে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ভর্তিরএই কার্যক্রম চলবে।
ভর্তি সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য ঢাকা শিক্ষা বোর্ডর ওয়েবসাইটে প্রকাশ করাহবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
শিক্ষা মন্ত্রী দীপু মনি সভাপতিত্বে রোববার এক ভার্চুয়াল সভায় একাদশ শ্রেণিতেভর্তি কার্যক্রম শুরুর এই সিদ্ধান্ত হয়।
মন্ত্রী সভায় বলেন, মেধাবী কিন্তু আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল শিক্ষার্থীদের ভর্তিতেযেন সমাস্যা না হয় সেদিকে প্রতিষ্ঠানগুলোকে সতর্ক থাকতে হবে।
“কোভিড-১৯ এর কারণে ক্ষতিগ্রস্ত অনেকেই হয়ত ভর্তির ফি একসাথে দিতে পারবেনা। সেক্ষেত্রে তারা যেন কিস্তিতে ভর্তি ফি দিতে পারে সে ব্যাবস্থা রাখতে হবে।”
শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগেরসচিব মো. মাহবুব হোসেন, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান,মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সৈয়দ গোলাম ফারুক, আন্তঃশিক্ষাবোর্ডসমন্বয় সাব-কমিটির সভাপতি অধ্যপক মু. জিয়াউল হক সভায় যুক্ত ছিলেন।
দেশে করোনাভাইরাসের প্রকোপ বাড়তে থাকায় গত ১৭ মার্চ থেকে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানবন্ধ রয়েছে। দুই মাস লকডাউনের পর অফিস-কারখানা-যানবাহন চালু করে কিছু বিধিনিষেধ তুলেদেওয়া হলেও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছুটি বাড়ানো হয়েছে ৬ অগাস্ট পর্যন্ত।
মে মাসে মাধ্যমিকের ফল ঘোষণা হলে ৬ জুন থেকে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি শুরুরপরিকল্পনার কথা জানিয়েছিলেন ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক অধ্যাপক হারুন-আর-রশিদ।
এরপর ৩১ মে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল দেওয়া হলেও মহামারী পরিস্থিতিরউন্নতি না হওয়ায় একাদশে ভর্তি পিছিয়ে যায়।
এবার ২০ লাখ ৪০ হাজার ২৮ জন শিক্ষার্থী মাধ্যমিকের চূড়ান্ত পরীক্ষায় অংশনেয়, তাদের মধ্যে ১৬ লাখ ৯০ হাজার ৫২৩ জন পাস করেছে। তারাই এবার একাদশ শ্রেণিতে ভর্তিরআবেদন করবে।
গত বেশ কয়েক বছর ধরে ঢাকা বোর্ডের মাধ্যমে কেন্দ্রীয়ভাবে দেশের সব সরকারি-বেসরকারিকলেজের একাদশ শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হচ্ছে।
পুরনো খবর