ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আবদুল হাই শুক্রবার প্রথম প্রহরে মারা যান। তার বয়স হয়েছিল ৬৭ বছর।
রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ভেন্টিলেশনে থাকা অবস্থায় আবদুল হাইয়ের হার্ট অ্যাটাক হয়েছিল।”
রাষ্ট্রপতির সহকারী একান্ত সচিবের দায়িত্বে ছিলেন আবদুল হাই। শনিবার মিঠামইনে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।
মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাইয়ের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তার দপ্তর থেকে জানানো হয়, প্রধানমন্ত্রী প্রয়াতের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেছেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।
১৯৫৩ সালে জন্ম নেওয়া আবদুল হাই নয় ভাই-বোনের মধ্যে ছিলেন অষ্টম। হাজি তায়েব উদ্দিন স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এবং শিক্ষক ছিলেন তিনি।
আবদুল হাই পরে কিশোরগঞ্জের মিঠামইন উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হক সরকারি কলেজে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কাজ করেন দীর্ঘদিন।
মিঠামইন উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার আবদুল হাই মিঠামইন পল্লী উন্নয়ন সমিতির সভাপতি এবং প্রবাহ সাহিত্য সংসদের সভপাতি ছিলেন। এছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি।
আবদুল হাইয়ের শরীরে করোনাভাইরাস সংক্রমণের উপসর্গ দেখা দিলে গত ২ জুলাই নমুনা পরীক্ষা করা হয়। তাতে তার করোনাভাইরাস ‘পজিটিভ’ আসে।
গত ৫ জুলাই তাকে ঢাকা সিএমএইচের আইসোলেশন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। গত কয়েকদিন তিনি ভেন্টিলেশনে ছিলেন।
আবদুল হাইয়ের ছেলে সাইফ মো. ফারাবিও কিছু দিন আগে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন।