দুদকের উপ-পরিচালক সেলিনা আখতার মনিকে অনুসন্ধান কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে বৃহস্পতিবার কমিশনের পরিচালক (জনসংযোগ) প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন।
সোমবার কমিশনের এক সভায় এই অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত হয়।
জেকেজির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফুল চৌধুরী ডা. সাবরিনার স্বামী। সাবরিনা জেকেজির চেয়ারম্যান হিসেবে পরিচিত হলেও এখন তিনি তা অস্বীকার করছেন।
আরিফুলকে গ্রেপ্তারের পর জেকেজির দুর্নীতির অনুসন্ধানে গত ১২ জুলাই সাবরিনাকেও গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তিনি জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের কার্ডিয়াক সার্জারি বিভাগের রেজিস্ট্রার ছিলেন। গ্রেপ্তার হওয়ার পর তাকে বরখাস্ত করা হয়।
করোনাভাইরাসের ভুয়া প্রতিবেদন দিয়ে আট কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ছাড়াও সাবরিনার অবৈধ সম্পদের বিষয়েও অনুসন্ধান চালাবেন দুদক কর্মকর্তা মনি।
সাবরিনার বিরুদ্ধে অভিযোগ সম্পর্কে দুদক পরিচালক প্রনব বলেন, সরকারি চাকরিতে বহাল থেকে ডা. সাবরিনা তার স্বামী আরিফ চৌধুরীর সহায়তায় প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে করোন রোগীদের নমুনা সংগ্রহ করে ১৫ হাজার ৪৬০টি ভুয়া মেডিকেল রিপোর্ট প্রস্তত ও সরবরাহ করেছেন।
এর মাধ্যমে সাবরিনা আট কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে বলে জানান তিনি।
সাবরিনা এখন পুলিশ রিমান্ডে রয়েছেন।
কোভিড-১৯ রোগের প্রাদুর্ভাবের পর নমুনা সংগ্রহের জন্য জেকেজিকে অনুমোদন দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
গত মাসে পুলিশের অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে তারা নমুনা পরীক্ষা না করেই ভুয়া সনদ দিচ্ছিল। এরপর আরিফুলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।