মঙ্গলবার বিকালে তাকে কারাগারে পাঠানো হলেও খবরটি জানা যায় বুধবার।
সোমবার ভোরে লালবাগ থেকে জয় গোপালকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
ক্যাসিনোকাণ্ডে আলোচিত গেন্ডারিয়ার আওয়ামী লীগ নেতা দুই ভাই এনামুল হক এনু ও রুপন ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে দায়ের করা অর্থপাচারের মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে মঙ্গলবার জয় গোপালকে আদালতে তোলা হয়।
এ সময় তার জামিন আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন মহানগর হাকিম দেবব্রত বিশ্বাস।
এ আদালতের সংশ্লিষ্ট পুলিশের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা এসআই সালোয়ার হোসেন সাংবাদিকদের জানান, মঙ্গলবার শুনানিতে জয় গোপালের আইনজীবী জামিন চেয়ে বলেন যে, তার নাম এজাহারে নেই। তিনি ক্যাসিনোকাণ্ডে সরাসরি জড়িত ছিলেন না। শুধু ঘটনা জানতেন। ক্যাসিনোর লভ্যাংশ বা এ সংক্রান্ত কোনো টাকা তার কাছে আসত না।
অপরদিকে আদালতে পাঠানো সিআইডির প্রতিবেদনে বলা হয়, ওয়ার্ডারার্স ক্লাবে ক্যাসিনো বাণিজ্যে জয় গোপালের সরাসরি জড়িত থাকার প্রমাণ পেয়েই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইম বিভাগ জানায়, ক্যাসিনোকাণ্ডে জড়িত দুই ভাই এনু ও রুপনের দেওয়া ১৬৪ ধারার জবানবন্দিতে জয় গোপালের নাম উঠে আসার কারণে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার সিআইডির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, জয় গোপাল ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের একজন ফুটবলার ছিলেন। অবসরে গিয়ে পরিচালনা পর্ষদের সদস্য, পরে ক্যাশিয়ারের দায়িত্ব পালন করেন।
২০১৪ সালে ক্লাবটির সাধারণ সম্পাদক হয়ে এনু-রুপনের সঙ্গে সখ্য গড়ে তোলেন এবং ক্লাবে ক্যাসিনো পরিচালনায় প্রত্যক্ষ সহযোগিতা করেন।
আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে এনু ও রুপনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়া হবে জানিয়ে সিআইডির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, তদন্তে এই দুই ভাইয়ের ৯১টি ব্যাংক হিসাবের তথ্য পাওয়া গেছে। ওই সব ব্যাংক হিসাবে জমা হয়েছে ২০৮ কোটি ৪৪ লাখ ১১ হাজার ৬৫০ টাকা আর উত্তোলন করা হয়েছে ২০৫ কোটি ৮৪ লাখ ৮১ হাজার ৮৪ টাকা।
এছাড়া তাদের ২০টি বাড়ি ও জমি ছাড়াও মোট ১২৮টি ফ্ল্যাটের সন্ধান পাওয়া গেছে বলে সিআইডির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়ে।
গত ১৩ জানুয়ারি কেরানীগঞ্জের একটি ভবন থেকে এক সহযোগীসহ দুই ভাই এনু ও রুপনকে গ্রেপ্তার করেছিল সিআইডি।