বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকির নেতৃত্বে এক প্রতিনিধি দলকে বুধবার সচিবালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ দেয়ার পর এ কথা বলেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
সম্প্রতি দুটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষায় জালিয়াতি ও চিকিৎসায় অনিয়মের অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অপরাধীর কোনো পরিচয় নেই, দুর্বৃত্তের কোনো দল নেই।
“অনিয়ম দুর্নীতির বিরুদ্ধে শেখ হাসিনা সরকারের অবস্থান স্পষ্ট। রিজেন্ট হাসপাতাল ও জেকেজির কর্তাব্যক্তিদের গ্রেপ্তার প্রমাণ করে অনিয়মের বিরুদ্ধে সরকারের কঠোর অবস্থান।
মাস্ক পরিধান, সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখা তথা স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে প্রতিপালনের ওপর গুরুত্বারোপ করে মন্ত্রী বলেন, “ক্ষণিকের অবহেলা কিংবা শৈথিল্যে ঈদের সার্বজনীন আনন্দ বিষাদে রূপ নিতে পারে। আসন্ন ঈদে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে কোরবানির পশুর হাট এবং অন্যান্য সমাগম এড়িয়ে চলতে হবে।”
জাপানের প্রতিনিধি দলকে ধন্যবাদ জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, জাপান বাংলাদেশের পরীক্ষিত বন্ধু এবং অন্যতম প্রধান উন্নয়ন সহযোগী। দেশের সড়ক পরিবহন খাতে মেট্রোরেলসহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প জাপানের অর্থায়নে বাস্তবায়িত হচ্ছে।
প্রতিনিধি দলে ছিলেন জাপানের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা জাইকার বাংলাদেশ অফিসের প্রধান হায়াকায়া উহো এবং জাপান দূতাবাসের দ্বিতীয় সচিব তাকাশি শিরাই।