ঢাকা উত্তরে ৮৯৮টি স্থাপনায় মিলল এইডিসের লার্ভা

এইডিস নিয়ন্ত্রণে চিরুনি অভিযানের দ্বিতীয় পর্ব শেষে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন ৮৯৮টি স্থাপনায় এই মশার লার্ভা পেয়েছে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 July 2020, 08:15 PM
Updated : 14 July 2020, 08:34 PM

১০ দিনের এই অভিযানে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ১৬৮টি মামলায় মোট ২১ লাখ ৬৮ হাজার ১০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।

মঙ্গলবার চিরুনি অভিযান শেষে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন-ডিএনসিসি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে।

এ ১০ দিনে মোট ১ লাখ ৩০ হাজার ৯৭৭টি বাড়ি, স্থাপনা, নির্মাণাধীন ভবন পরিদর্শন ৮৯৮টিতে এইডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়, যা মোট স্থাপনার শতকরা ০.৬৯ ভাগ।

এছাড়া ৭৮ হাজার ১৩০টি স্থাপনায় এইডিস মশা বংশবিস্তার উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়।

ডিএনসিসি জানিয়েছে, মঙ্গলবার চিরুনি অভিযানের দশম দিনে ১১ হাজার ৯৩৪টি স্থাপনা পরিদর্শন করে ৪৮টিতে লার্ভা এবং ৬ হাজার ৭৯৪টিতে এইডিসের বংশবিস্তার উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়।

এইডিসের লার্ভা পাওয়ায় ১৭টি মামলায় ১ লাখ ৪৫ হাজার ১০০ টাকা জরিমানা করা হয়। 

মঙ্গলবার উত্তরায় (অঞ্চল-১) ৯৭০টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে ১২টিতে এইডিস মশার লার্ভা এবং ৮২৭টি স্থাপনায় এইডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। এইডিসের লার্ভা পাওয়ায় ৮টি মামলায় ৩১ হাজার ৩০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

মিরপুরে (অঞ্চল-২) ২ হাজার ৩৮৪টি স্থাপনা পরিদর্শন করে ২টিতে এইডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায় এবং ৩৭৮টি স্থাপনায় এইডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। এছাড়া ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ১টি মামলায় মোট ১০ হাজার ৮০০ টাকা জরিমানা করা হয়।

মহাখালীতে (অঞ্চল-৩) ১ হাজার ৪৩৩টি স্থাপনা পরিদর্শন করে ১৭টিতে এইডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায় এবং ৭৪৫টি স্থাপনায় এইডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। এইডিসের লার্ভা পাওয়ায় ৬টি মামলায় ৯৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

মিরপুর-১০ এলাকায়  (অঞ্চল-৪) ১ হাজার ৩৭২টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করা হয়। তবে কোথাও এইডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায় নি। তবে ৭৫৩টি বাড়ি ও স্থাপনায় এইডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়।

কারওয়ান বাজারে (অঞ্চল-৫) ১ হাজার ৯২৩টি বাড়ি,স্থাপনা পরিদর্শন করে ৮টিতে এইডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। এছাড়া ১ হাজার ৫৮৭টি বাড়ি ও স্থাপনায় এইডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। এখানে ২টি মামলায় ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

হরিরামপুর এলাকায় (অঞ্চল-৬) ১ হাজার ১০৩টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে ১টিতে এইডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। এছাড়া ৯১০টি বাড়ি ও স্থাপনায় এইডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়।

দক্ষিণখান এলাকায় (অঞ্চল-৭) ৮৩১টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে ৩টিতে এইডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেলে বাড়ির মালিকদেরকে সতর্ক করে লার্ভা ধ্বংস করা হয়। এছাড়া ৬৩৪টি বাড়ি ও স্থাপনায় এইডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়।

উত্তরখান এলাকায় (অঞ্চল-৮) মোট ৬৭০টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে ১টি স্থাপনায় এইডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। তবে ৪০৫টি স্থাপনায় এইডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। 

ভাটারা এলাকায় (অঞ্চল-৯) মোট ৫২৫টি স্থাপনা পরিদর্শন করে কোথাও এইডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায় নি। তবে ২১০টি স্থাপনায় এইডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়।

সাতারকুল এলাকায় (অঞ্চল-১০) মোট ৭২৩টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে ৪টিতে এইডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেলে বাড়ির মালিকদেরকে সতর্ক করে লার্ভা ধ্বংস করা হয়। এছাড়া ৫৪৫টি বাড়ি ও স্থাপনায় এইডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়।