ময়ূর-২ লঞ্চের মাস্টার রিমান্ডে

বুড়িগঙ্গায় এমএল মর্নিং বার্ড ডুবিতে প্রাণহানির মামলায় ময়ূর-২ লঞ্চের মাস্টার আবুল বাশারকে তিন দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছে আদালত।

আদালত প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 July 2020, 09:52 AM
Updated : 14 July 2020, 09:52 AM

ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম এ এফ এম মারুফ চৌধুরী মঙ্গলবার বাশারের জামিন আবেদন নাকচ করে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এ মামলার এজাহারভুক্ত আসামি বাশারকে সোমবার ভোরে কেরাণীগঞ্জের হাসনাবাদ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাবের একটি দল।

মঙ্গলবার তাকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সদরঘাট নৌ-থানার এসআই শহিদুল আলম।

অন্যদিকে রিমান্ডের বিরোধিতা করে বাশারের পক্ষে জামিনের আবেদন করেন আইনজীবী শাহ জালাল চুন্নু।

শুনানিতে তিনি বলেন, “মর্নিংবাড লঞ্চটি দ্রুত ময়ূর লঞ্চের সামনে চলে আসায় ওই দুর্ঘটনা ঘটে। ময়ূর লঞ্চের চালকের কিছুই করার ছিল না। তাছাড়া এ মামলার ধারাগুলো জামিনযোগ্য।”

অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত পাবিলিক প্রসকিউটর আনোয়ারুল কবির বাবুল বলেন, “এ মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তরিত হতে পারে। সুতরাং লঞ্চের মাস্টারকে জামিন না দিয়ে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হোক।”

দুই পক্ষের বক্তব্য শুনে বিচারক জামিন আবেদন নাকচ করে দিয়ে তিন দিনের রিমান্ডে নিয়ে বাশারকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন।

গত ২৯ জুন ঢাকা সদরঘাটের কাছে বুড়িগঙ্গা নদীতে ময়ূর-২ লঞ্চের ধাক্কায় মুন্সীগঞ্জ থেকে যাত্রী নিয়ে আসা মর্নিং বার্ড নামে একটি ছোট লঞ্চ ডুবে অন্তত ৩৪ জনের মৃত্যু হয়।

ওই ঘটনায় নৌ-পুলিশে এসআই শামছুল আলম বাদী হয়ে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় মামলা করেন।

ময়ূর-২ লঞ্চের মালিক মোসাদ্দেক হানিফ সোয়াদ, মাস্টার আবুল বাশার, মাস্টার জাকির হোসেন, স্টাফ শিপন হাওলাদার, শাকিল হোসেন, হৃদয় ও সুকানি নাসির মৃধার নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় আরও পাঁচ থেকে ছয়জনকে সেখানে আসামি করা হয়।

প্রাণহানির ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ২৮০, ৩০৪ (ক), ৩৩৭ ও ৩৪ ধারায় অবহেলাজনিত মৃত্যুসহ কয়েকটি অভিযোগ আনা হয়েছে মামলার এজাহারে।

এ মামলার প্রধান আসামি ময়ূর-২ লঞ্চের মালিক মোসাদ্দেক হানিফ সোয়াদকে তিন দিনের রিমান্ড শেষে গত রোববার কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেপ্তার ময়ূর-২ লঞ্চের সুপারভাইজার আব্দুস সালামকেও তিন দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের পর গত ৯ জুলাই কারাগারে পাঠানো হয়।