দেশের উত্তর ও মধ্যাঞ্চলের ১৫ জেলার ৭২টি উপজেলায় প্রায় তিন লাখ পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অন্তত ১৩ লাখ মানুষ।
বন্যা সতর্কীকরণ ও পূর্বাভাস কেন্দ্রের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, বহ্মপুত্র-যমুনা নদীর পানি আগামী ৫ দিন বাড়তে পারে। ২০ জুলাই নাগাদ তা স্থিতিশীল হতে পারে। এর ফলে আগামী ৭ দিন কুড়িগ্রাম, বগুড়া, গাইবান্ধা, সিরাজগঞ্জ ও জামালপুরের বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে।
এই সময়ের মধ্যে টাঙ্গাইল জেলার এলাসিন পর্যবেক্ষণ স্টেশন ও মানিকগঞ্জ জেলার আরিচা স্টেশনে পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে। ফলে এসব জেলায় বন্যার স্থায়ীত্ব হতে পারে দিন দশেক।
পানি বাড়ছে গঙ্গা-পদ্মা নদীতেও। আগামী সাত দিনে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ পয়েন্টে এবং মুন্সিগঞ্জের ভাগ্যকূল পয়েন্টে পানি বাড়তে থাকবে। তাতে রাজবাড়ী জেলার বন্যা পরিস্থিতি ৭ থেকে ১০ দিন স্থায়ী হতে পারে।
ঢাকার চারপাশের নদ-নদীর পানি বাড়লেও বিপদসীমার উপরে যাওয়ার আশঙ্কা নেই বলে জানিয়েছেন আরিফুজ্জামান ভূঁইয়া।
বন্যা সতর্কীকরণ ও পূর্বাভাস কেন্দ্র বলছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় নীলফামারী, লালমনিরহাট, সিলেট, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোণা ও রংপুর জেলার বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে।
তবে কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, দিনাজপুর, বগুড়া, জামালপুর, সিরাজগঞ্জ, টাঙ্গাইল, নাটোর, নওগাঁ, মুন্সিগঞ্জ, ফরিদপুর, মাদারীপুর, রাজবাড়ী ও ঢাকা জেলার নিম্নাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে।
প্রথম দফা বন্যার ক্ষত সেরে উঠতে না উঠতেই দ্বিতীয় ধাপের বন্যা চলছে। ইতোমধ্যে বন্যাদুর্গত জনপদে মানুষের দুর্ভোগের পাশাপাশি অবকাঠামোগত ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। ভাঙন দেখা দিয়েছে বিভিন্ন এলাকায়।
বন্যা কবলিত এলাকায় সরকারের ত্রাণ তৎপরতার পাশাপাশি মেডিক্যাল টিম কাজ করছে।
পুরনো খবর