দেশে প্রথম ‘স্মার্ট ল্যাম্পপোস্ট’ বসাল ইডটকো

আধুনিক নাগরিক সুবিধা ও নির্বিঘ্ন নেটওয়ার্ক সংযোগ নিশ্চিত করতে বাংলাদেশে প্রথম ‘স্মার্ট ল্যাম্পপোস্ট’ স্থাপন করল সমন্বিত টেলিযোগাযোগ অবকাঠামো সেবাদাতা কোম্পানি ইডটকো বাংলাদেশ।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 July 2020, 01:47 PM
Updated : 13 July 2020, 01:47 PM

নগরবাসীর জন্য বিনামূল্যে ওয়াইফাই, আলো, এয়ার কোয়ালিটি রিপোর্ট, সচেতনতামূলক বার্তা, স্মার্ট বিন-ইত্যাদি নানান সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা করে দেবে ‘স্মার্ট ল্যাম্পপোস্ট’।

সোমবার এক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে বনানীর কাকলী বাস স্ট্যান্ড এলাকায় স্থাপিত ‘স্মার্ট ল্যাম্পপোস্ট’ উদ্বোধন করেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম।

ইডটকো জানায়, টেলিযোগাযোগ খাত সংশ্লিষ্ট সবাইকে একসাথে নিয়ে দেশের নির্বিঘ্ন নেটওয়ার্ক সংযোগ ও আধুনিক নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করতে বহুমুখী স্মার্ট ল্যাম্প পোল স্থাপনের এটিই প্রথম সম্মিলিত প্রয়াস।

সমন্বিত এই সল্যুশনটি বিনামূল্যে ওয়াইফাই পরিষেবা, নিরাপত্তা নজরদারি (ঐচ্ছিক), আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য স্মার্ট বিন, রিয়েল টাইম এয়ার কোয়ালিটি মনিটরিং করা ছাড়াও কমিউনিটি মেসেজ দেওয়ার ক্ষেত্রে ‘ডিজিটাল সাইনেজ’ হিসাবে কাজ করবে।

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের সহযোগিতায় স্মার্ট সিটি গড়ে তুলতে পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) এর আওতায় দেশে প্রথমবারের মতো পরীক্ষামূলক এই ‘স্মার্ট সিটি ফিচার’ চালু করা হল।

মেয়র আতিক বলেন, “প্রথমবারের মতো এ ধরনের স্মার্ট সিটি সল্যুশন গড়ে তোলার মাধ্যমে সামাজিক এবং বেসামরিক সেবার ক্ষেত্রে নগরবাসীকে একটি নতুন এবং উন্নত প্লাটফর্ম দিতে পেরে আমরা আনন্দিত।

“পরীক্ষামূলক এই উদ্যোগটি সফল হলে ২০২১ সালের মধ্যে ঢাকা উত্তরজুড়ে আরও প্রায় ২০০ থেকে ২৫০টি জায়গাতে আমরা এরকম স্মার্ট সল্যুশন স্থাপন করব। চমৎকার নেটওয়ার্ক সংযোগ সুবিধা দেয়ার পাশাপাশি নাগরিক সুবিধার সামগ্রিক উন্নয়ন নিশিচত করায় এই উদ্যোগটির লক্ষ্য।”

সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের (পিপিপি) ক্ষেত্রে এই উদ্যোগ একটি আদর্শ উদাহরণ হবে বলে মনে করেন মেয়র আতিক।

তিনি বলেন, “এর ফলে টাওয়ার কোম্পানিটি ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের খালি বা অব্যবহৃত জায়গাতে টাওয়ার স্থাপন করে সেটি মোবাইল ফোন অপারেটরদের কাছে বিক্রি করার সুযোগ পাচ্ছে এবং এর বিনিময়ে তারা নগরবাসীর জন্য বিনামূল্যে ওয়াইফাই, আলো, এয়ার কোয়ালিটি রিপোর্ট, সচেতনতামূলক বার্তা, স্মার্ট বিন-ইত্যাদি নানান সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা করে দিচ্ছে।”

ইডটকো বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রিকি স্টেইন বলেন, “সবার জন্য নির্বিঘ্ন, স্থিতিশীল এবং দ্রুততর সংযোগ নিশ্চিতকরণের দিকে মনোনিবেশের পাশাপাশি স্মার্ট সিটি সল্যুশনের মতো পরবর্তী প্রজন্মের প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে বাংলাদেশকে ফাইভ-জির জন্য পুরোপুরিভাবে প্রস্তুত করে তুলতে আমরা বদ্ধপরিকর।”

বাংলাদেশে বর্তমানে নিজস্ব মালিকানায় ১০ হাজারেরও বেশি টেলিকম টাওয়ার পরিচালনা করছে ইডটকো বাংলাদেশ।

অনুষ্ঠানে টেলিযোগযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসির চেয়ারম্যান জহুরুল হক, অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল, রবি আজিয়াটা লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহতাব উদ্দিন আহমদসহ ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।