সাহেদের ‘অবৈধ সম্পদের’ খোঁজে দুদক

চিকিৎসার নামে প্রতারণা ও জালিয়াতির অভিযোগ মাথায় নিয়ে পলাতক রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদের ‘অবৈধ’ সম্পদের খোঁজে মাঠে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 July 2020, 08:30 AM
Updated : 13 July 2020, 08:30 AM

সোমবার কমিশনের এক সভায় সংস্থাটির উপ-পরিচালক মো. আবু বকর সিদ্দিকের নেতৃত্বে তিন সদস্যেরে একটি অনুসন্ধান দল গঠন করা হয়েছে বলে দুদক পরিচালক (জনসংযোগ) প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য জানিয়েছেন।

অনুসন্ধান দলের অপর দুই সদস্য হলেন দুদকের সহকারী পরিচালক মো. নেয়ামুল হাসান গাজী ও শেখ মো. গোলাম মাওলা।

প্রনব বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, রিজেন্ট হাসপাতালের স্বত্বাধিকারী ও রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ ওরফে সাহেদ করিমের বিরুদ্ধে মাইক্রোক্রেডিট ও এমএলএম ব্যবসার নামে জনসাধারণের সাথে প্রতারণা করে কোটি কোটি টাকা সংগ্রহ করে আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে।

“পাশপাশি তার বিরুদ্ধে বহুমাত্রিক জাল-জালিয়াতি ও প্রতারণার মাধ্যমে পরস্পর যোগসাজশে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ, আয়কর ফাঁকি, ভুয়া নাম ও পরিচয়ে ব্যাংক ঋণ গ্রহণ করে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ পেয়ে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।”

প্রনব জানান, অনুসন্ধান শুরুর আগে কমিশনের সংশ্লিষ্ট অণুবিভাগগুলো বিভিন্ন ব্যক্তি, গণমাধ্যম, ভার্চুয়াল মাধ্যমসহ বিভিন্ন উৎস থেকে মো. সাহেদের বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো সংগ্রহ করেছে।

“কমিশনের দৈনিক ও সাম্প্রতিক অভিযোগ সেল এসব তথ্য-উপাত্ত সংবলিত অভিযোগ কমিশনে উপস্থাপন করলে কমিশন অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয়। কমিশনের বিশেষ তদন্ত অণুবিভাগের মাধ্যমে এই অভিযোগটি অনুসন্ধান করা হবে।”

করোনাভাইরাসের পরীক্ষা না করে ভুয়া রিপোর্ট দেওয়া, সরকারের কাছে বিল দেওয়ার পর আবার রোগীর কাছ থেকেও অর্থ নেওয়াসহ রিজেন্ট হাসপাতালে নানা অনিয়মের খবর সম্প্রতি প্রকাশ্য হয়েছে র‌্যাবের অভিযানের মধ্য দিয়ে।

গত সপ্তাহে ওই অভিযানের পর রিজেন্টের দুটি হাসপাতাল বন্ধ করে দিয়েছে র‌্যাব। ওই হাসপাতালের অনুমোদনও বাতিল করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ।

এ ঘটনায় র‌্যাবের করা মামলায় হাসপাতালের নয়জন কর্মকর্তা-কর্মচারী গ্রেপ্তার হলেও মালিক মোহাম্মদ সাহেদসহ এখনও পলাতক বলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভাষ্য।

আরও পড়ুন