দুই নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার ভোটের সকালে কেন্দ্রে কেন্দ্রে ব্যালট পেপার পাঠানো হবে। সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত দুই আসনের উপ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলবে।
বিএনপি ও জাতীয় পার্টির প্রার্থী থাকলেও ভোট নিয়ে তাদের অনীহার মধ্যে ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীর জন্য এটা হতে যাচ্ছে অনেকটা ‘আনুষ্ঠানিকতার’ নির্বাচন। বিএনপি বলছে, এ সময় ভোটে অংশগ্রহণ থাকবে না; আর জাতীয় পার্টি ভোট পেছানোর দাবি জানিয়ে সাড়া পায়নি।
এদিকে যমুনা নদীর পানি বেড়ে সোমবার চারটি ভোটকেন্দ্র প্লাবিত হয়েছে। এসব কেন্দ্রে সরিয়ে নতুন বেড়িবাধ এলাকায় অস্থায়ী কেন্দ্র করতে হবে বলে বগুড়া-১ আসনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ইসির উপসচিব মাহবুব আলম শাহ জানিয়েছেন।
যশোর-৬ ভোটার: ২ লাখ ৩ হাজার ১৮ জন প্রার্থী: শাহীন চাকলাদার (নৌকা), আবুল হোসেন আজাদ (ধানের শীষ) ও হাবিবুর রহমান হাবিব (লাঙ্গল)
বগুড়া-১ ভোটার: ৩ লাখ ৩০ হাজার ৮৯৩ জন। প্রার্থী: সাহাদারা মান্নান (নৌকা), একেএম আহসানুল তৈয়ব জাকির (ধানের শীষ), মোকছেদুল আলম (লাঙ্গল), মো. রনি (বাঘ), নজরুল ইসলাম (বটগাছ) ও ইয়াসির রহমতুল্লাহ ইন্তাজ (স্বতন্ত্র- ট্রাক)।
১৮ জানুয়ারি সংসদ সদস্য আব্দুল মান্নানের মৃত্যুতে বগুড়া-১ এবং ২১ জানুয়ারি ইসমাত আরা সাদেকের মৃত্যুতে যশোর-৬ আসন ফাঁকা হয়। গত ২৯ মার্চ এ দুটি উপনির্বাচন হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু মহামারীর কারণে তা স্থগিত করা হয়। সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার কারণে আসন শূন্য পরবর্তী ৯০ দিন এবং দৈব-দূর্বিপাকে আরও ৯০ দিনের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই ১৪ জুলাই উপ-নির্বাচন হচ্ছে।
|
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীরণ কেন্দ্রের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী উদয় রায়হান জানান, বগুড়ায় বন্যার বিস্তার বাড়ছে। সোমবার সকাল ৯টায় সারিয়াকান্দি পয়েন্টে যমুনার পানি বিপদসীমার ৪২ সেন্টিমিটার উপরে প্রবাহিত হচ্ছিল। মঙ্গলবারও এই ধারা অব্যাহত থাকবে।
রিটার্নিং কর্মকর্তা মাহবুব আলম শাহ বলেন, “কমিশন ইতোমধ্যে আমাদের বলেছে, পানি বাড়তে থাকলে বিকল্প প্রস্তাব দ্রুত অনুমোদন দেবে। কেন্দ্র পরিবর্তনের বিষয়ে ভোটের আগের দিন প্রস্তাব পাঠিয়েছি”।
তিনি জানান, সব ধরনের প্রস্তুতি তারা ইতোমধ্যে সম্পন্ন করেছেন। বন্যা কবলিত এলাকায় কেন্দ্রের বিষয়েও ব্যবস্থা রয়েছে।
“এখানে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হবে কোথাও কোথাও। রোববারও কেন্দ্রে পানি আসে নি; এখন তো পানি বাড়ছেই। তা বিবেচনা করেই প্রস্তুতি রাখতে হচ্ছে।”
সোমবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে ব্যালট বাক্সসহ নির্বাচনী মালামাল বিতরণ করা হচ্ছে। ভোটকেন্দ্রের জন্য প্রয়োজনীয় সুরক্ষা সামগ্রীও পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।
যশোর-৬ আসনের রিটার্নিং কর্মকর্তা জ্যেষ্ঠ জেলা নির্বাচন অফিসার হুমায়ুন কবির বলেন, “স্বাস্থ্য বিধি মেনে নির্বাচনী সামগ্রী দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের কাছে সরবরাহ করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে কেন্দ্রভিত্তিক সব ধরেনের সুরক্ষা সামগ্রীও তুলে দেওয়া হবে তাদের কাছে।”
তিনি জানান, চারটি স্থান থেকে সোমবার দুপুরের মধ্যে ভোটের সামগ্রী তুলে দেওয়া হবে কেন্দ্র সংশ্লিষ্টদের হাতে। বিকালের মধ্যে সেসব কেন্দ্রে কেন্দ্রে পৌঁছে যাবে।
“ইসির নির্দেশনা অনুযায়ী, মঙ্গলবার সকালে ব্যালট পেপার পৌঁছে যাবে কেন্দ্রে, যাতে সকাল ৯টা থেকে ভোট শুরু করা যায়।”
হুমায়ুন কবির বলেন, ভোট নিতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের পাশাপাশি ভোটারদেরও স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করা হবে। সেজন্য প্রার্থীরাও সচেতন থাকতে হবে। নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকেও এ বিষয়ে মাইকিং করা হচ্ছে।
আরও চার উপ নির্বাচন সামনে
এপ্রিল-মে মাসে শূন্য হওয়া পাবনা-৪ ও ঢাকা-৫ আসনের উপ নির্বাচন করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে ৯০ দিনের মধ্যে করা সম্ভব হবে না জানিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে ইসি সচিবালয়।
সাংসদ শামসুর রহমান শরীফ ডিলুর মৃত্যুতে পাবনা-৪ ও হাবিবুর রহমান মোল্লার মৃত্যুতে ঢাকা-৫ আসন শূন্য হয়।
মোহাম্মদ নাসিমের মৃত্যুতে শূন্য হওয়া সিরাজগঞ্জ-১ আসন এবং সাহারা খাতুনের মৃত্যুতে শূন্য হওয়া ঢাকা-১৮ আসনেও সামনে উপ নির্বাচন করতে হবে ইসিকে।
পুরনো খবর