ডা. সাবরিনা ৩ দিনের রিমান্ডে
আদালত প্রতিবেদক, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published: 13 Jul 2020 12:07 PM BdST Updated: 13 Jul 2020 01:33 PM BdST
-
জেকেজি হেলথকেয়ারের জালিয়াতির মামলায় গ্রেপ্তার জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউটের চিকিৎসক সাবরিনা শারমিন হুসাইনকে সোমবার ঢাকার হাকিম আদালতে হাজির করা হলে বিচারক তাকে তিন দিনের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন।
-
জেকেজি হেলথকেয়ারের জালিয়াতির মামলায় গ্রেপ্তার জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউটের চিকিৎসক সাবরিনা শারমিন হুসাইনকে সোমবার ঢাকার হাকিম আদালতে হাজির করা হলে বিচারক তাকে তিন দিনের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন।
-
গ্রেপ্তারের পর ডা. সাবরিনা
-
গ্রেপ্তারের পর ডা. সাবরিনা
-
নিজের অফিসে ডা. সাবরিনা আরিফের নামফলক
-
ডা. সাবরিনা আরিফ চৌধুরীর ব্যবহৃত গাড়ি
করোনাভাইরাস পরীক্ষা নিয়ে জেকেজি হেলথকেয়ারের জালিয়াতির মামলায় গ্রেপ্তার জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউটের চিকিৎসক সাবরিনা শারমিন হুসাইন ওরফে সাবরিনা আরিফ চৌধুরীকে তিন দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছে আদালত।
Related Stories
ডা. সাবরিনার জামিন আবেদন বাতিল করে ঢাকার মহানগর হাকিম শাহিনুর রহমান সোমবার এই আদেশ দেন।
তেজগাঁও থানা পুলিশ এদিন সাবরিনাকে আদালতে হাজির করে তাকে চার দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আবেদন করে।
অন্যদিকে পুলিশের রিমান্ড আবেদনের বিরোধিতা করে সাবরিনার পক্ষে জামিনের আবেদন করেন ওবায়দুল হক, সাইফুল ইসলাম সুমনসহ কয়েকজন আইনজীবী।
জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের কার্ডিয়াক সার্জারি বিভাগের রেজিস্ট্রারের দায়িত্ব পালন করে আসা ডা. সাবরিনা জেকেজি হেলথকেয়ারের প্রধান নির্বাহী আরিফুল হক চৌধুরীর স্ত্রী। সে কারণে সাবরিনা আরিফ চৌধুরী নামেই তিনি পরিচিত।
করোনাভাইরাস পরীক্ষা নিয়ে জালিয়াতির অভিযোগে এক ভুক্তভোগীর করা এই মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে সাবরিনার স্বামী আরিফুল বর্তমানে কারাগারে আছেন।
রোববার দুপুরে সাবরিনাকে হাসপাতাল থেকে ঢাকা মহানগর পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর তেজগাঁও থানার এ মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। পরে সরকারি কর্মচারী বিধিমালা ভঙ্গের অভিযোগে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করার কথা জানায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
ওই আদেশে বলা হয়, “ডা. সাবরিনা শারমিন হুসাইন সরকারি চাকরিতে কর্মরত থাকা অবস্থায় বেসরকারি প্রতিষ্ঠান জেকেজির চেয়্যারম্যান হিসেবে কর্মরত ছিলেন। করোনা টেস্টের ভুয়া রিপোর্ট দেওয়া এবং অর্থ আত্মসাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছিলেন। এ কারণে তাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।”
সোমবার রিমান্ড ও জামিন আবেদনের ওপর শুনানিতে আইনজীবী সুমন আদালতকে বলেন, ডা. সাবরিনা ‘সরল ও সৎ বিশ্বাসে’ তার স্বামীর প্রতিষ্ঠানে কাজ করতেন। তিনি জেকেজির অপকর্মের কথা ‘আগে জানতে পারেননি’। জানলে সম্পর্কচ্ছেদ করতেন।
অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে আদালত পুলিশের সাধারণ নিবন্ধন কমকর্তা এস আই ফরিদ মিয়া বলেন, সাবরিনা তার স্বামীর সহযোগী হয়ে কাজ করেছেন।
“রোগীদের ভুয়া কোভিড-১৯ সনদপত্র (সার্ফিকেট) সরবরাহ করে বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করেছেন । তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে ঘটনার বিস্তারিত জানা যাবে।”
এ সময় কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে সাবরিনা বিচারকের কাছে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন । শুনানি শেষে বিচারক জামিন আবেদন নাকচ করে এই চিকিৎসককে তিন দিনের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন।

গ্রেপ্তারের পর ডা. সাবরিনা
এ বিষয়ে রাজধানীর কল্যাণপুরের একটি বাড়ির কেয়ারটেকারের অভিযোগের সত্যতা পেয়ে গত ২২ জুন জেকেজি হেলথ কেয়ারের সাবেক গ্রাফিক ডিজাইনার হুমায়ুন কবীর হিরু ও তার স্ত্রী তানজীন পাটোয়ারীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
তাদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পরে প্রতিষ্ঠানটির সিইও আরিফুলকেও গ্রেপ্তার করা হয়। জেকেজি হেলথ কেয়ারের নমুনা সংগ্রহের যে অনুমোদন ছিল, তাও ২৪ জুন বাতিল করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
নতুন করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পর নমুনা পরীক্ষার জন্য জেকেজি হেলথ কেয়ারকে দায়িত্ব দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তখন এই প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান হিসেবে ডা. সাবরিনার কথাই বলা হত।
কিন্তু জুনের শেষ দিকে জেকেজির দুর্নীতির খবর প্রকাশ পাওয়ার পর তিনি দাবি করেন, এই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে গত দুই মাস ধরে তার কোনো সম্পর্ক নেই।
রোববার তাকে গ্রেপ্তার করার পর তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার হারুন অর রশিদ সাংবাদিকদের বলেন, “সাবরিনা যে জেকেজি হেলথকেয়ার এবং এর মূল প্রতিষ্ঠান ওভাল গ্রুপের চেয়ারম্যান ছিলেন সে ব্যাপারে কিছু তথ্য প্রমাণ আমরা পেয়েছি। আরও কিছু জোগাড় করার চেষ্টা চলছে। রিমান্ডে নেওয়া হলে সব জানা যাবে।”
তেজগাঁও বিভাগের অতিরিক্ত উপ কমিশনার রুবাইয়াত জামান জানান, জেকেজির বিরুদ্ধে মোট চারটি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে তিনটি প্রতারণার মামলা এবং থানায় হামলা, ভাংচুর পুলিশের কাজে বাঁধা দেওয়ার অভিযোগে।
প্রথম মামলাটি দায়ের করেন কামাল হোসেন নামে এক ভুক্তভোগী। সরকারি প্রতিষ্ঠানের নাম ব্যবহার করে প্রতারণার মাধ্যমে টাকা আত্মসাৎ, করোনাভাইরাস পরীক্ষার ভুযা প্রতিবেদন দেওয়া এবং জীবন বিপন্নকারী রোগের সংক্রামণের মধ্যে দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ আনা হয় সেখানে।
ওই মামলায় গত ২৩ জুন অরিফুলকে গ্রেপ্তার করার পর জেকেজি কর্মীরা তেজগাঁও থানায় গিয়ে বিক্ষোভ করে। পরে পুলিশ বাদী আরকেটি মামলা করে এবং তাতে জেকেজির ১৮ কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আরিফের গ্রেপ্তারের খবর পেয়ে দুইজন ব্যবসায়ী একই থানায় আরও দুটো মামলা করেন। এর একটিতে ১২টি ল্যাপটপ ভাড়া নেওয়ার নামে আত্মসাৎ করা এবং অন্যটিতে দুটি আর্চওয়ে এবং ২০টি ওয়াকিটকি কিনে টাকা না দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়।
এর মধ্যে আরিফকে তিনটি প্রতারণার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে জানিয়ে রুবাইয়াত জামান বলেন, সাবরিনাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে প্রথম মামলায়। তদন্তে প্রমাণ পাওয়া গেলে প্রতারণার বাকি দুই মামলাতেও তাকে গ্রেপ্তার করা হতে পারে।
আরও পড়ুন
জেকেজির জালিয়াতি: গ্রেপ্তার হওয়ার পর বরখাস্ত ডা. সাবরিনা
-
চলে গেলেন শহীদ বুদ্ধিজীবী মুনীর চৌধুরীর স্ত্রী লিলি চৌধুরী
-
‘বেনাপোল দিয়ে ২০১৯ সালেই’ দেশ ছাড়েন পি কে হালদার
-
তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা
-
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মমুখী কোর্স চালুর তাগিদ বিদায়ী উপাচার্যের
-
অবৈধ সম্পদ: ফরিদপুরের বরকত-রুবেলকে গ্রেপ্তারির আবেদন মঞ্জুর
-
ওআইসির আয়োজনে ঢাকায় ‘বঙ্গবন্ধু ইয়থ আর্ট কম্পিটিশন’
-
মহামারী: জয় বাংলা কনসার্ট এবার হচ্ছে না
-
মাদক মামলা থেকেও ইরফান সেলিমকে অব্যাহতি
সর্বাধিক পঠিত
- আমাকে ফাঁসানো হয়েছে: সামিয়া
- পাঁচটি প্রিয় বিকাশ নম্বরে ‘সেন্ড মানিতে’ খরচ নেই
- অনন্য মামুনের ‘মেকআপ’ প্রদর্শনযোগ্য নয়: সেন্সর বোর্ড
- বার্সেলোনার সাবেক সভাপতি বার্তোমেউ ‘আটক’
- ভিনিসিউসের শেষের গোলে রক্ষা রিয়ালের
- এশিয়া কাপ পেছানোর ভাবনা
- বার্সেলোনায় যাচ্ছে গার্সিয়া: গুয়ার্দিওলা
- ‘এত বড় দেশে কোথাও জায়গা হল না’
- বিদেশিদের উদ্বেগ ‘তাজ্জবের’ ব্যাপার: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- ফেইসবুকে ‘সেক্স টয়’ বিক্রি, গ্রেপ্তার ৬