ঈদুল আজহার জামাতও মসজিদে

করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে রোজার মতো কোরবানির ঈদের জামাতও মসজিদের পড়তে হবে। এক্ষেত্রে মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি এবং করা যাবে না কোলাকুলি।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 July 2020, 01:30 PM
Updated : 12 July 2020, 01:30 PM

রোববার দুপুরে এক আন্তঃমন্ত্রণালয় ভার্চুয়াল সভায় এই সিদ্ধান্ত হয় বলে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি জানানো হয়।

করোনা ভাইরাস সংক্রমণজনিত কারণে জনস্বাস্থ্য বিবেচনায় আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহার নামাজের জামাত ঈদগাহ বা উন্মুক্ত স্থানের পরিবর্তে নিকটস্থ মসজিদে আদায়ের জন্য সবাইকে অনুরোধ করা হয়েছে।

ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা আনোয়ার হোসাইন বলেন, “সবাইকে বাসা থেকে ওজু করে মসজিদে যেতে হবে মাস্ক পরে। কাতারে দাঁড়াতে হবে দূরত্ব রেখে। নামাজ শেষে কোলাকুলি বা হাত মেলানো যাবে না। এসব স্বাস্থ্যবিধি সবাইকে মানতে হবে।”

ঈদুল আজহার প্রধান জামাত জাতীয় ঈদগাহ এর পরিবর্তে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে অনুষ্ঠিত হবে বলে সভায় জানানো হয়।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে এ বছর ৩১ ‍জুলাই বা ১ অগাস্ট ঈদুল আজহা হওয়ার কথা রয়েছে।

ঈদুল আযহা উদযাপনের লক্ষ্যে সভায় আরো কিছু সিদ্ধান্ত হয়।
ঈদুল আজহার রাতে নির্দিষ্ট সরকারি এবং সামরিক গুরুত্বপূর্ণ ভবনে আলোকসজ্জা করা হবে।
সভায় সিদ্ধান্ত হয়, সারাদেশের বিভাগ, জেলা, উপজেলা, সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ, বেসরকারি সংস্থা প্রধানরা জাতীয় কর্মসূচির আলোকে নিজ নিজ কর্মসূচি অনুযায়ী ঈদুল আজহা উদযাপন করবেন।

বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতার ও বেসরকারি গণমাধ্যমে গুরুত্বের সঙ্গে বিশেষ অনুষ্ঠান প্রচার করবে এবং সংবাদপত্রগুলো বিশেষ সংখ্যা প্রকাশ করবে।

ঈদুল আজহা উপলক্ষে দেশের সব হাসপাতাল, কারাগার, সরকারি শিশুসদন, বৃদ্ধনিবাস, মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রে উন্নত মানের খাবার পরিবেশন করা হবে।

কোরবানি করা পশুর রক্ত, বর্জ্যে যাতে পরিবেশ দুর্গন্ধময় না হয় সে বিষয়ে সব প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক মো. আনিছুর রহমানের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, স্বরাষ্ট্র, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ, স্থানীয় সরকার,পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়, তথ্য, জনপ্রশাসন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ, দপ্তর সংস্থার প্রতিনিধিরা সভায় অংশ নেন।

সভায় দেশের শীর্ষস্থানীয় ওলামারা দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে এ ভার্চুয়াল সভায় অংশ নিয়ে তাদের মতামত দেন।