তারা হলেন- জামাল উদ্দিন সোহাগ (৩৪), কামাল হোসেন (৩৯) ও জামাল হোসেন (৩৭)।
শুক্রবার তাদের তিন জনকে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ।
পল্টন থানায় তাদের বিরুদ্ধে মানবপাচারের অভিযোগে করা মামলায় সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ওই থানার এসআই শাহ আলম।
শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম আবু সুফিয়ান মোহাম্মদ নোমান প্রত্যেকের তিনদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
সম্প্রতি ভিয়েতনাম থেকে ১১ বাংলাদেশি অভিবাসী দেশে ফেরেন। তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব অনুসন্ধানের পর ৮ জুলাই রাতে রাজধানীর পল্টন এলাকা থেকে পাচারচক্রের মূলহোতাসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে।
এ সময় জব্দ করা হয় ২৫৪টি বাংলাদেশি পাসপোর্ট।
বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-৩ অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল রকিবুল হাসান বলেন, গত ৩ জুলাই বিশেষ ফ্লাইটে (ফ্লাইট নম্বর-ভিজে ৬৯৫৮) ভিয়েতনাম থেকে ১১ বাংলাদেশি দেশে ফেরেন। এছাড়া আরও ২৭ জন অভিবাসী ভিয়েতনামে আটক অবস্থায় মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
ভিয়েতনামফেরত ১১ জনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে র্যাব প্রাথমিক অনুসন্ধান শুরু করে।
অনুসন্ধানে মানবপাচারে মাশ ক্যারিয়ার সার্ভিস, দি জেকে ওভারসিস লিমিটেড, অ্যাডভেন্ট ওভারসিস লিমিটেড, মেসার্স সন্ধানী ওভারসিস লিমিটেড এবং আল নোমান হিউম্যান রিসোর্স লিমিটেডসহ স্থানীয় দালাল ও ভিয়েতনামে বাংলাদেশি কয়েকজন দালালের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া বলে জানান র্যাব কর্মকর্তা রকিবুল হাসান।