রোববার থেকে হিফজখানা চালুর অনুমতি

দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও বোর্ডের আওতাভুক্ত নয়- এমন হাফেজিয়া মাদ্রাসা বা হিফজখানাগুলোকে রোববার থেকে চালুর অনুমতি দিয়েছে সরকার।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 July 2020, 02:34 PM
Updated : 10 July 2020, 02:34 PM

এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে ৮ জুলাই ধর্ম মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “এ সকল হাফিজিয়া মাদ্রাসা/হিফজখানার কার্যক্রম পরিচালনায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জারি করা স্বাস্থ্যবিধি আবশ্যিকভাবে অনুসরণ করতে হবে।”           

ধর্ম মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আনোয়ার হোসাইন এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, হাফিজিয়া মাদ্রাসা বলতে এখানে কওমি মাদ্রাসা বোর্ডের অধীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে বোঝানো হয়নি।

“বোর্ডের অধীনে নয় এমন অনেক হিফজখানা রয়েছে, সেখানে শিশুরা শুধু হাফেজি পড়ে। কেবল সেগুলোই চালু করা যাবে।”

এসব প্রতিষ্ঠানের কোনো ‘অভিভাবক’ না থাকায় স্থানীয় প্রশাসন, স্থানীয় স্থাস্থ্য বিভাগ, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বিভাগ, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তা, শিক্ষক–কর্মচারীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিষয়টি দেখতে বলা হয়েছে।

“করোনাভাইরাসের বিস্তাররোধে ১৭ মার্চ থেকে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও মাদ্রাসা বন্ধ রয়েছে, সেসব প্রতিষ্ঠান চালুর কথা এখানে বলা হয়নি।”

মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “বৈশ্বিক কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে হাফিজিয়া মাদ্রাসা এবং হিফজখানার কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। হাফেজিয়া মাদ্রাসা এবং হিফজখানার শিক্ষা কার্যক্রমে নিরবচ্ছিন্ন অধ্যাবসায়ের আবশ্যকতার কথা উল্লেখ করে এর কার্যক্রম চালু করার বিষয়ে কর্তৃপক্ষের নিকট দেশের শীর্ষ স্থানীয় ওলামায়ে কেরামের পক্ষ হতে আবেদন করা হয়েছে।

“বর্তমান প্রেক্ষাপটে সার্বিক অবস্থা পর্যালোচনা করে আবেদনের বিষয়টি যথাযথভাবে বিবেচনা করে শুধুমাত্র হাফিজিয়া মাদ্রাসা বা হিজফখানার কার্যক্রম ১২ জুলাই থেকে  চালু করার অনুমতি প্রদান করা হল।”

করোনাভাইরাসের মহামারীর প্রেক্ষাপটে গত ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে।

দেশজুড়ে দুই মাস লকডাউনের পর বিধিনিষেধ অনেক ক্ষেত্রে তুলে নেওয়া হলেও সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আগামী ৬ অগাস্ট পর্যন্ত বন্ধ রাখার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

তবে কোভিড-১৯ পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে স্কুল-কলেজ খুলবে না বলেও সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে।