রিজেন্ট হাসপাতালের কর্মকর্তা শিবলী রিমান্ডে

করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে চিকিৎসার নামে প্রতারণার মামলায় রিজেন্ট হাসপাতালের জনসংযোগ কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম শিবলীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচদিনের হেফাজতে পেয়েছে পুলিশ।

আদালত প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 July 2020, 11:57 AM
Updated : 10 July 2020, 11:57 AM

শুক্রবার শিবলীকে আদালতে হাজির করে সাতদিনের রিমান্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উত্তরা পশ্চিম থানার পুলিশ পরিদর্শক আলমগীর গাজী। পরে মহানগর হাকিম মোরশেদ আল মামুন ভূঁইয়া তার পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

শিবলীর পক্ষে কোনো আইনজীবী না থাকায় বিচারক তার কিছু বলার আছে কিনা জানতে চান।

জবাবে শিবলী বলেন, “আমি হাসপাতালে চাকরি করতাম। হাসপাতালের যে শাখা থেকে করোনা টেস্টের সাটফিকেট দিত আমি সেই শাখায় কাজ করতাম না।”

গত বুধবার (৮ জুলাই) রাতে নাখালপাড়া থেকে তরিকুল ইসলাম শিবলীকে গ্রেপ্তার করা হয়।

শুক্রবার পুলিশের সংশ্লিষ্ট সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা এসআই জালাল উদ্দিন অসুস্থ থাকায় এসআই শেখ রাকিবুর রহমান রিমান্ড আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন।

এর আগে গত বুধবার করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষার ভুয়া সনদ দেওয়াসহ বিভিন্ন অভিযোগে রিজেন্ট হাসপাতালের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলায় সাতজনকে পাঁচদিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছিল আদালত।

চিকিৎসার নামে প্রতারণার মামলার আসামি রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদকে খুঁজছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী

এরা হলেন- আহসান হাবীব, আহসান হাবীব হাসান, হাতিম আলী, রাকিবুল হাসান ওরফে সুমন, অমিত বণিক, আব্দুস সালাম, আব্দুর রশীদ খান ওরফে জুয়েল।

কামরুল ইসলাম নামের এক আসামির বয়স কম হওয়ায় তাকে গাজীপুরে কিশোর সংশোধনাগারে পাঠানো হয়েছে।

গত ৬ জুলাই রিজেন্ট হাসপাতালের উত্তরা ও মিরপুর শাখায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন র‍্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম।

অভিযানে করোনাভাইরাস পরীক্ষার ভুয়া রিপোর্ট, চিকিৎসার নামে রোগীদের কাছ থেকে অর্থ আদায়সহ নানা অনিয়মের তথ্যপ্রমাণ মেলে। পরে সেখান থেকে আটজনকে আটক করে র‍্যাব হেফাজতে নেওয়া হয়।

পরদিন রিজেন্ট হাসপাতালের দুটি শাখাই সিলগালা করে দেয়া হয়। সন্ধ্যায় ওই হাসপাতালের কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

ওইদিন (৭ জুলাই) রাতে উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলাটি দায়ের করে র‍্যাব। মামলায় হাসপাতালের মালিক মোহাম্মদ সাহেদসহ ১৭ জনকে আসামি করা হয়েছে।

দণ্ডবিধি ৪০৬/৪১৭/৪৬৫/৪৬৮/৪৭১/২৬৯ ধারায় করা মামলায় সর্বোচ্চ শাস্তি সাত বছরের জেল।