তিন দিনের রিমান্ড শেষে বৃহস্পতিবার তাকে ঢাকার বিচারিক হাকিম আদালতে হাজির করা হলে তার জামিন আবেদন নাকচ করে বিচারক মনিকা খান এই আদেশ দেন।
এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নৌ পুলিশের এসআই শহিদুল ইসলাম এদিন আসামিকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।
অন্যদিকে আসামি সালামের পক্ষে ঢাকা বারের সভাপতি ইকবাল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক হোসেন আলী খান হাসানসহ কয়েকজন আইনজীবী জামিনের আবেদন করেন।
রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর আনোয়ারুল কবীর বাবুল জামিনের বিরোধিতা করেন।
উভয় পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক জামিন আবেদন নাকচ করে করে সালামকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
আব্দুস সালাম এ মামলার এজাহারভুক্ত আসামি নন। তাকে সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেপ্তার করে গত ৭ জুলাই তিন দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ।
এ মামলার প্রধান আসামি ময়ূর-২ লঞ্চের মালিক মোসাদ্দেক হানিফ সোয়াদকেও বৃহস্পতিবার তিন দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন একই বিচারক।
গত ২৯ জুন ঢাকা সদরঘাটের কাছে বুড়িগঙ্গা নদীতে ময়ূর-২ লঞ্চের ধাক্কায় মুন্সীগঞ্জ থেকে যাত্রী নিয়ে আসা মর্নিং বার্ড নামে একটি ছোট লঞ্চ ডুবে অন্তত ৩৪ জনের মৃত্যু হয়।
ওই ঘটনায় নৌ-পুলিশে এসআই শামছুল আলম বাদী হয়ে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় মামলা করেন।
ময়ূর-২ লঞ্চের মালিক মোসাদ্দেক হানিফ সোয়াদ, মাস্টার আবুল বাশার, মাস্টার জাকির হোসেন, স্টাফ শিপন হাওলাদার, শাকিল হোসেন, হৃদয় ও সুকানি নাসির মৃধার নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় আরও পাঁচ থেকে ছয়জনকে সেখানে আসামি করা হয়।
প্রাণহানির ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ২৮০, ৩০৪ (ক), ৩৩৭ ও ৩৪ ধারায় অবহেলাজনিত মৃত্যুসহ কয়েকটি অভিযোগ আনা হয়।