সদরঘাট নৌ-থানার ওসি রেজাউল করিম ভূইয়া বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বৃহস্পতিবার ভোরে ধানমণ্ডির সোবহানবাগ থেকে সোয়াদকে গ্রেপ্তার করেন তারা।
এর আগে গত মঙ্গলবার গ্রেপ্তার করা হয়েছিল লঞ্চের সুপারভাইজার আব্দুস সালামকে।
গত ২৯ জুন ঢাকা সদরঘাটের কাছে বুড়িগঙ্গা নদীতে ময়ূর-২ লঞ্চের ধাক্কায় মুন্সীগঞ্জ থেকে যাত্রী নিয়ে আসা মর্নিং বার্ড নামে একটি ছোট লঞ্চ ডুবে অন্তত ৩৪ জনের মৃত্যু হয়।
ওই ঘটনায় নৌ-পুলিশে এসআই শামছুল আলম বাদী হয়ে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় মামলা করেন।
প্রাণহানির ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ২৮০, ৩০৪ (ক), ৩৩৭ ও ৩৪ ধারায় অবহেলাজনিত মৃত্যুসহ কয়েকটি অভিযোগ আনা হয়।
ওই ঘটনায় নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় ও বিআইডব্লিউটিএ তদন্ত কমিটি গঠন করে। সেই কমিটির তদন্ত প্রতিবেদনে দুর্ঘটনার নয়টি কারণ চিহ্নিত করে বলা হয়, ময়ূর-২ লঞ্চের ধাক্কাতেই মর্নিং বার্ড ডুবে প্রাণহানি ঘটে।
ভবিষ্যতে এ ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে বিশ দাফ সুপারিশও দিয়েছে তদন্ত কমিটি।
দুর্ঘটনার পর সদরঘাটের একটি সিসি ক্যামেরার ভিডিও দেখে নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী সেদিন সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ঘটনার যে ধরন, তাতে তার মনে হয়েছে এটা ‘পরিকল্পিত এবং হত্যাকাণ্ড।’
গত ৭ জুলাই তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর তিনি বলেন, “আমি বলেছিলাম এটি হত্যাকাণ্ড এবং এখনও দেখলে আবারও বলব হত্যাকাণ্ড। যেহেতু অবহেলাজনিত কারণে দুর্ঘটনার অভিযোগ এনে একটি মামলা করা হয়েছে, তদন্তে যদি হত্যাকাণ্ড প্রমাণিত হয়, তাহলে সেটা অবশ্যই ৩০২ ধারায় (হত্যা মামলা) আসবে।”