র্যাবের গোয়েন্দা শাখার প্রধান সারোয়ার বিন কাশেম মঙ্গলবার রাতে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে এই তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান শাহেদসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলা হয়েছে। তাদের গ্রেপ্তারে মাঠে নেমেছে র্যাবের চারটি দল।
“তিনি দেশের বাইরে চলে যেতে পারেন। এ ধরনের তথ্য আছে। আর সে অনুযায়ী বিমানবন্দরসহ স্থলবন্দরগুলোতেও তার ব্যাপারে তথ্য পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি যেন কোনোভাবেই দেশের বাইরে যেতে না পারেন। আমরা তাকেসহ অন্যদের গ্রেপ্তারের জন্য কাজ করছি।”
করোনাভাইরাস পরীক্ষা না করেই ভুয়া রিপোর্ট দেওয়া, নিয়ম বহির্ভূতভাবে গ্রাহকদের কাছ থেকে টাকা আদায় এবং মেয়াদপূর্তির পরও লাইসেন্স নবায়ন না করায় মঙ্গলবার রিজেন্ট হাসপাতাল বন্ধ করে দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর; অথচ এই হাসপাতালটি সরকারই করোনাভাইরাসের রোগীদের চিকিৎসার জন্য নির্দিষ্ট করেছিল।
তার আগের দিন উত্তরার রিজেন্ট হাসপাতালে অভিযান চালিয়ে নানা অনিয়মের সন্ধান পাওয়ার কথা জানিয়েছিল র্যাব। তখন সাহেদ অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন।
সোমবার অভিযানের সময় রিজেন্ট থেকে আট কর্মচারীকে ধরে এনেছিল র্যাব। মঙ্গলবার করা মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
মনিরুজ্জামান নামে (২৩) হাসপাতালের এক কর্মচারীকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তিন মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন র্যাবের নির্বাহী হাকিম সারওয়ার আলম।
র্যাব বিকালে হাসপাতালটি এবং পরে সন্ধ্যায় উত্তরার তাদের প্রধান অফিসটি সিলগালা করে দেয়।