‘সেক্স টয়’ বিক্রি: গ্রেপ্তার তিনজন রিমান্ডে

দেশে নিষিদ্ধ নানা ধরনের ‘সেক্স টয়’ এবং যৌন উদ্দীপক বড়িসহ গ্রেপ্তার বসুন্ধরা সিটির এশিয়ান স্কাইশপ আউটলেটের মালিকসহ তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডে পাঠিয়েছে আদালত। 

আদালত প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 July 2020, 04:34 PM
Updated : 7 July 2020, 04:34 PM

পুলিশের এন্টি টেররিজম ইউনিট মঙ্গলবার তাদের ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করলে মহানগর হাকিম তোফাজ্জল হোসেন আসামিদের প্রত্যেককে এক দিন করে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন।

এই তিনজন হলেন, হেলাল উদ্দিন (৪৯), আলতাফ মৃধা (২৩) ও ফাহিম (২২)। তাদের মধ্যে হেলাল বসুন্ধরা সিটিতে থাকা এশিয়ান স্কাইশপ আউটলেটের মালিক ।

এন্টি টেররিজম ইউনিটের কর্মকর্তারা বলছেন, একটি মাদক চক্রকে অনুসরণ করতে গিয়ে এদের সন্ধান পান তারা।

রোববার ওয়েস্টিন হোটেলের পাশ থেকে ফাহিমকে (২২) একটি পলিথিনের ব্যাগসহ ধরার পর সেই ব্যাগে ‘নিষিদ্ধ’ যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট পাওয়া যায়।

পরে তার দেওয়া তথ্যে আলতাফ মৃধাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বাসায় বিপুল পরিমাণ ‘সেক্স টয়’ এবং যৌন উত্তেজক ওষুধ পাওয়া যায়, যেগুলো বাংলাদেশে বিক্রি করার অনুমতি নেই বলে এন্টি টেররিজম ইউনিটের কর্মকর্তাদের ভাষ্য।

এরপর আলতাফ মৃধার দেওয়া তথ্যে এশিয়ান স্কাই শপের বসুন্ধরা শপিং মল আউটলেটের মালিক হেলালকে কলাবাগান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার গুদামে অভিযান চালিয়েও একই ধরনের সামগ্রী উদ্ধার করা হয়।

ওই তিনজনের বিরুদ্ধে সোমবার গুলশান থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করে পুলিশের এন্টি টেররিজম ইউনিট। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস আই শামীম হোসেন মঙ্গলবার তাদের আদালতে হাজির করে রিমান্ডের আবেদন করেন।

রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, “এই চক্রের সাথে আরও অনেকেই জড়িত। ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় তাদের গোডাউনে এ ধরনের মালামাল রয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে। এ রকম আমদানি নিষিদ্ধ দ্রব্য আর কাদের কাছে রয়েছে কোথায় রয়েছে তা জানার জন্য তিন আসামিকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা জরুরি।”

হেলালের পক্ষে আইনজীবী মো. রিয়াজুল হক রিয়াজ, আলতাফের পক্ষে আইনজীবী খন্দকার মাহতাব এবং ফাহিমের পক্ষে আইনজীবী আব্দুর রহমান রিমান্ডের বিরোধিতা করেন শুনানিতে।

আলতাফ ও ফাহিমের আইনজীবীরা বলেন, তাদের মক্কেলরা সামান্য কর্মচারী। ওইসব সামগ্রী অবৈধভাবে দেশে আনা হয়ে থাকলে তার দায় তাদের নয়।

আর হেলালের আইনজীবী বলেন, মামলার সব তথ্য তো পুলিশ পেয়েই গেছে, এই কোভিড -১৯ দুর্যোগের মধ্যে তার মক্কেলকে রিমান্ডে নেওয়ার যৌক্তিকতা নেই।

শুনানি শেষে বিচারক তিন আসামিকে এক দিন করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন।