মঙ্গলবার সচিবালয়ে জাতীয় প্রেস ক্লাব পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় হাছান মাহমুদ বলেন, “ইতোমধ্যে অনেক সাংবাদিক করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। বেশ কয়েকজন মৃত্যুবরণ করেছেন।
“আমরা সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের মাধ্যমে এ ভাইরাস সংক্রমণে মৃত সাংবাদিকদের পরিবারকে তিন লাখ টাকা করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এরইমধ্যে ছয়টি পরিবারকে এ সহায়তা দেওয়া হয়েছে।”
আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, করোনাভাইরাসের প্রকোপ, ভয়াবহতা এবং প্রতিরোধের উপায় সম্পর্কে মানুষকে জানানো এবং এ সময় বিভিন্ন কর্মে নিয়োজিতদের দায়িত্বশীল পদক্ষেপ নেওয়ার ক্ষেত্রে গণমাধ্যমের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি বলেন, কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাবের শুরু থেকে সাংবাদিকরা যেন গুজবের বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকে সে অনুরোধ ছিল।
“গণমাধ্যম যেন চালু থাকে সে অনুরোধও আমরা করেছি। আমরা দেখছি, সমস্ত প্রতিকূলতা সত্ত্বেও গণমাধ্যম চালু আছে।”
এ সময় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি সাইফুল আলম তথ্যমন্ত্রীকে জানান, হল ভাড়া বন্ধ থাকায় প্রেস ক্লাব কিছুটা আর্থিক সংকটে পড়েছে।
এ বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, এটি নিয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া যেতে পারে।
“করোনাভাইরাসের প্রকোপ এখন কোন পর্যায়ে, সেটি বিশেষজ্ঞরাই ভালো বলতে পারবেন। তবে কয়েকটি পত্রিকায় দেখেছি, প্রকোপটা কমতির দিকে। জীবন ও জীবিকা রক্ষায় সমস্ত কিছু যখন আস্তে আস্তে খুলে যাচ্ছে, প্রেস ক্লাবও সেক্ষেত্রে সীমিত আকারে খুলে দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনায় রাখা যেতে পারে।”
তিনি বলেন, করোনাভাইরাস সংকটে সংবাদপত্রগুলোর বিক্রি ও ছাপা সংখ্যা দুটোই কমেছে। এ অবস্থায় সংবাদপত্রগুলো যেন বকেয়া বিল পায় সেজন্য মন্ত্রিপরিষদের পক্ষ থেকে প্রতিটি মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছিল।
“যাতে তারা সংবাদপত্রের বকেয়াগুলো পরিশোধ করে। এতে অনেকটা ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে এবং প্রয়োজনে আবার তাগাদা দেওয়া হবে। বকেয়া বিলগুলো পেলে সংবাদপত্রের সাথে সংশ্লিষ্ট সাংবাদিক, কর্মচারীদের বেতন-ভাতা দেওয়া সহজ হয়, সেজন্যই এ পদক্ষেপ।”
মতবিনিময়ে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন, সিনিয়র সহ-সভাপতি ওমর ফারুক, কোষাধ্যক্ষ শ্যামল দত্ত, যুগ্ম-সম্পাদক মাইনুল আলম, নির্বাহী সদস্য কুদ্দুস আফ্রাদ, আবদাল আহমেদ ও জাহিদুজ্জামান অংশ নেন।