স্থানীয় সরকার বিভাগ মঙ্গলবার এদের বরখাস্ত করে আদেশ জারি করেছে।
এনিয়ে ত্রাণ বিতরণে অনিয়মসহ সরকারি চাল আত্মসাৎ এবং অন্যান্য অনিয়মের জন্য ইউনিয়ন পরিষদের ৩৫ জন চেয়ারম্যান, ৬৬ জন সদস্য, একজন জেলা পরিষদ সদস্য, চারজন পৌর কাউন্সিলর এবং একজন উপজেলা পরিষদের ভাইস-চেয়ারম্যানসহ মোট ১০৭ জনপ্রতিনিধিকে সাময়িক বরখাস্ত করা হল।
মঙ্গলবারের আদেশে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর মানবিক সহায়তা কর্মসূচিতে ১৯৮ জন উপকারভোগীর কাছ থেকে বিবিধ ট্যাক্সের নামে ২৮০ টাকা করে আদায়ের অভিযোগে বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার ময়দানহাট্টা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম রুপমকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির হতদরিদ্রদের তালিকা প্রণয়নে অনিয়ম, নিয়মবর্হিভূতভাবে ডিলারকে দিয়ে তালিকা তৈরি, মৃত ব্যক্তি ও একই ব্যক্তির নাম একাধিকবার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা এবং বরাদ্দকৃত চাল প্রকৃত ব্যক্তিকে না দেওয়ার অভিযোগে হবিগঞ্জের ১১ নম্বর গজনাইন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইমদাদুর রহমান মুকুলকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
এছাড়া মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার নবগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য উত্তম বিশ্বাসকে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল বিতরণে অনিয়ম ও আত্মসাতের অভিযোগে বরখাস্ত করা হয়।
এই তিনজন জনপ্রতিনিধিকে কেন স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করা হবে না, তা জানতে চেয়ে কারণ দর্শানো হয়েছে। চিঠি পাওয়ার ১০ কার্যদিবসের মধ্যে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে স্থানীয় সরকার বিভাগে শোকজের জবাব পাঠাতে অনুরোধ হয়েছে।