প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর তাদের আওতাধীন কর্মীদের পরিসংখ্যান হালনাগাদ করে মঙ্গলবার এই তথ্য জানিয়েছে।
তালিকায় দেখা যায়, প্রাথমিকের ৫৬ জন কর্মকর্তা, ৩৫৭ জন শিক্ষক, ৩২ জন কর্মচারী এবং ১৯ জন শিক্ষার্থী ৬ জুলাই পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।
তাদের মধ্যে আটজন কর্মকর্তা, ৪৯ জন শিক্ষক, তিনজন কর্মচারী এবং সাতজন শিক্ষার্থী সুস্থ হয়েছেন। আর একজন কর্মকর্তা এবং নয়জন শিক্ষক মারা গেছেন।
অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ভোলার সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. খলিলুর রহমান কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।
বগুড়ার নন্দীগ্রামের বুড়ইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. গোলাম রব্বানী, চট্টগ্রামের পাঁচলাইশের বন গবেষণা সারকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সালেহ আহাম্মেদ এবং বাগেরহাটের মোড়লগঞ্জের সোনাখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক রুমিচা আক্তার করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।
এছাড়া ফরিদপুরের সদরপুরের যাত্রাবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. নুরুল ইসলাম, ঢাকার গুলশানের উদয়ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খয়বর আলী এবং চট্টগ্রামের পাহারতলীর উত্তর পাহাড়তলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ফারহানা শবনমের মৃত্যু হয়েছে করোনাভাইরাসে।
তালিকায় দেখা যায়, করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা, সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা, প্রধান শিক্ষক, সহকারী শিক্ষক, দপ্তরি কাম প্রহরী, উপজেলা রিসোর্স সেন্টারের ইন্সট্রাক্টর, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক, উচ্চমান সহকারী এবং সহকারী মনিটরিং অফিসার রয়েছেন।
অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. ফসিউল্লাহ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, আক্রান্তদের তালিকা তৈরি করে তারা নিয়মিতভাবে খোঁজখবর নিচ্ছেন।
“কারো যদি দেখাশোনা করার মতো কেউ না থাকে, তাহলে তার প্রয়োজনগুলো মেটাতে আমাদের কর্মকর্তারা কাজ করছেন। অনেক সময় জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদেরও আক্রান্তদের সম্পর্কে অবহিত করা হচ্ছে।”