পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, তারা দেশে না ফিরে পরে হ্যানয়ে বাংলাদেশ দূতাবাসে ‘জোর করে’ প্রবেশের চেষ্টা চালিয়ে দেশের সুনাম ’নষ্ট করছে’।
করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে বাংলাদেশে আটকা পড়া নাগরিকদের ফেরাতে ৩ জুলাই একটি বিশেষ ফ্লাইট পরিচালনা করে ভিয়েতনাম সরকার। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও ভিয়েতনামে বাংলাদেশ দূতাবাসের অনুরোধে ভিয়েতনাম সরকার ওই ফ্লাইটে ৩৮ জন বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠাতে সম্মত হয়।
কিন্তু ভিয়েত জেট এয়ারলাইন্সের ওই বিশেষ ফ্লাইটে শেষ পর্যন্ত দেশে আসেন ১১ বাংলাদেশি।
তাদের মধ্যে দুইজন আগে থেকেই ভিয়েতনামে কর্মরত ছিলেন। বাকি ৯ জন চাকরির আশায় সেখানে গিয়ে দালালের ’প্রতারণার শিকার হয়ে’ আটকা পড়েন বলে সে সময় জানিয়েছিল হ্যানয়ে বাংলাদেশের দূতাবাস।
সোমবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভিয়েত জেটের ওই ফ্লাইটে বাকি ২৭ জনেরও ফেরার কথা ছিল। কিন্তু বিমান ভাড়া বাংলাদেশ সরকারকে দিতে হবে- এমন শর্ত দিয়ে তারা আসেনি।
ফ্লাইটটি চলে আসার পর ওই ২৭ জন ‘জোর করে’ দূতাবাসে প্রবেশের চেষ্টা করার পাশাপাশি সেখানে বিক্ষাভ প্রদর্শন করে বলে জানানো হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।
সেখানে বলা হয়, “প্রথমত, এই উচ্ছৃঙ্খল লোক দেশে ফিরতে অপারগতা প্রকাশ করেছে। দ্বিতীয়ত, তাদের যদি কিছু বলার থাকত তাহলে তারা বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশ দূতাবাস দখলের চেষ্টা না চালিয়ে সুশৃঙ্খলভাবে সেটা বলতে পারত।”
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড কিংবা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্য কোনো ধনী দেশে পাঠানোর আশা দেখিয়ে এই বাংলাদেশিদের ভিয়েতনামে নিয়ে যায় দালালরা। কিন্তু সেখানে পৌঁছে তারা দেখেন, কাজ, থাকা-খাওয়ার কোনো ব্যবস্থাই তাদের জন্য নেই। তাছাড়া ভিয়েতনামে বিদেশি কর্মীদের জন্য কাজের সুযোগও তেমন নেই।
“মানবপাচারকারীদের দ্বারা প্রলুব্ধ হয়ে ভিয়েতনামে গিয়েছেন ওই ২৭ বাংলাদেশি। ভিয়েতনাম কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থা করা হোটেলে তারা সাময়িকভাবে অবস্থান করছেন।
কিন্তু দেশে না ফিরে এখন তারা বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশের সুনাম ’নষ্ট করছে’ বলে মন্তব্য করা হয় মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে।
করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে ভিয়েতনামের সঙ্গে বাংলাদেশের নিয়মিত ফ্লাইট চলাচল বর্তমানে বন্ধ রয়েছে। তা স্বাভাবিক হতে ‘আরও সময় লাগবে’ বলে সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে।