এ ঘটনায় দুই জনকে গ্রেপ্তারের পাশাপাশি বেশ কিছু অস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ।
গোয়েন্দা পুলিশের উপ-কমিশনার মশিউর রহমান জানান, রোববার রাতে কুড়িল বিশ্বরোড ফ্লাইওভারের নিচে ময়লার ডিপোর কাছে এই বন্দুযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।
নিহতদের একজন নান্নু ও আরেক জন মোশাররফ। নান্নু একসময় হলুদ ট্যাক্সি ক্যাব চালাতেন।
মশিউর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ছিনতাই, ডাকাতি ও অপহরণের মতো অপরাধের বিরুদ্ধে অভিযান জোরদারে নৈশ টহল বাড়ানোর অংশ হিসেবে রোববার রাতে গুলশানের তিনশ ফুট এলাকায় অবস্থান নেয় গোয়েন্দা পুলিশ।
তিনি বলেন, রাত আড়াইটার দিকে একটি অটোরিকশা শেওড়া বাস স্ট্যান্ড দিয়ে খুব জোরে খিলক্ষেত ফ্লাইওভারের দিকে যেতে থাকে। থামার সিগনাল পেয়েও তা উপেক্ষা করে ওপরে উঠে যায়। ফ্লাইওভারের পূর্ব মাথায় অবস্থানরত পুলিশের টহল দল বার্তা পেয়ে মাইক্রোবাস আড়াআড়ি করে চেকপোস্ট করে।
“শেওড়া বাস স্ট্যান্ড থেকে ডিবি পুলিশের অপর দলটি অটোরিকশাটিকে পেছন থেকে ধাওয়া করতে থাকে। কুড়িল বিশ্বরোড ফ্লাইওভারের নিচে ময়লার ডিপো পূর্বদিকে এসে অটোরিকশাটি হার্ড ব্রেক করলে দুইজন দুর্বৃত্ত সিএনজি থেকে লাফিয়ে পাশের ডোবার দিকে যেতে যেতে পুলিশের দিকে গুলি করে।
তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
মশিউর বলেন, অটোরিকশা ঘেরাও করে চালক শফিকুল ইসলাম ও তার সহযোগী সিদ্দিককে গ্রেপ্তার করা হয়।
সেখান থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন, ২ রাউন্ড গুলি, কাদামাখা একটি চাপাতি, একটি চাকু, অটোরিকশার সিটের নিচ থেকে এক কৌটা মলম, একটি পেঁচানো গামছা ও দুটি মোবাইল পাওয়া গেছে বলে তিনি জানান।