আরিফুল হাসান হৃদয় ওরফে সিফাত (১৮) নামে ওই তরুণ প্রতারণা করে ধরা পড়ার পর তার মা অপহরণের মিথ্যা অভিযোগ করেছিলেন বলে পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
ডিএমপির গুলশান বিভাগের উপকমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, শুক্রবার এক নারী থানায় অভিযোগ করেন যে, তার ছেলে সিফাতকে অপহরণ করে দুই লাখ টাকা মুক্তিপণ চাওয়া হচ্ছে। তাদের গ্রামের বাড়ি বগুড়ায়।
পুলিশ বিভিন্ন প্রযুক্তি ব্যবহার করে বৃহস্পতিবার রাতে খিলক্ষেত এলাকায় অভিযান চালিয়ে সিফাতকে উদ্ধার করে এবং সেখান থেকে এন্তাজুল ইসলাম (২৯) নামে একজনকে আটকও করে নিয়ে আসে। থানায় এনে সিফাতকে জিজ্ঞসাবাদ করলে আসল ঘটনা বেরিয়ে আসে।
উপকমিশনার সুদীপ বলেন, “প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়. সিফাত একজন প্রতারক। ফেইসবুকে নিজেকে সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন পরিচয় দিয়ে এই এলাকায় একজন নারীর সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলে এবং বিবাহের প্রস্তাব দেয়।
“১৫ দিন আগে বিবাহের প্রস্তাব দেওয়ার পর ওই নারীর স্বজনরা যাচাই-বাছাই করে দেখে, এই যুবক একজন প্রতারক এবং সে সেনাবাহিনীতে চাকরি করে না। শুক্রবার ওই নারীর বাসায় গেলে তার স্বজনরা তাকে আটকে রাখে।”
ওই খবর পেয়েই সিফাতের মা তড়িগড়ি করে থানায় এসে অপহরণের অভিযোগ করে ছেলেকে বাঁচানোর চেষ্টা চালিয়েছিল বলে জানান উপকমিশনার সুদীপ।
তিনি বলেন, এখন সিফাতের বিরুদ্ধে খিলক্ষেত থানায় জিডিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলায় হয়েছে।