তার তিনটি জামিন আবেদনের শুনানিই আদালত নিয়মিত খোলা পর্যন্ত মুলতবি (স্ট্যান্ডওভার) রেখেছে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদারের ভার্চুয়াল হাই কোর্ট বেঞ্চ।
রোববার আদালতে আসামির পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী সাঈদ আহমেদ রাজা। দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো.খুরশীদ আলম খান।
রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।
খুরশীদ আলম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “প্রকৌশলী মো.শফিকুল ইসলামকে জামিন না দিয়ে আদালত তার তিনটি জামিন আবেদনই নিয়মিত কোর্ট খোলা পর্যন্ত স্ট্যান্ডওভার রেখেছেন।”
দেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য নির্মাণাধীন আবাসন প্রকল্পের আসবাবসহ অন্যান্য আনুষঙ্গিক কাজে ‘অস্বাভাবিক’ ব্যয়ের অভিযোগ ওঠে।
সেখানে একটি বালিশের পেছনে ৬ হাজার ৭১৭ টাকা ব্যয় দেখানোর খবর গণমাধ্যমে আসায় এটা ‘বালিশ দুর্নীতি’ হিসেবে পরিচিতি পায়।
সেই ‘বালিশ কেলেঙ্কারির’ ঘটনায় চার মামলায় রূপপুর প্রকল্পের সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ মাসুদুল আলমসহ ১৩ জনকে গত বছর ১২ ডিসেম্বর গ্রেপ্তার করে দুদক কার্যালয়ে নেওয়া হয়।
পরে সেখান থেকে নেওয়া হয় আদালতে। আদালত আসামিদের জামিন আবেদন খারিজ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়। এরপার থেকে কারাগারেই আছেন শফিকুল ইসলাম।