মুগদা হাসপাতালে মারধরের ঘটনায় আনসারের তদন্ত কমিটি

রাজধানীর মুগদা জেনারেল হাসপাতালে ক্যান্সার আক্রান্ত মায়ের করোনাভাইরাস পরীক্ষার জন্য নমুনা দিতে ব্যর্থ হওয়া এক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনা তদন্তে একটি কমিটি করেছে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 July 2020, 08:57 PM
Updated : 4 July 2020, 08:57 PM

শনিবার গভীর রাতে পাঠানো তাদের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শুক্রবার সকালে ওই ঘটনার পর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল কাজী শরীফ কায়কোবাদ জড়িত আনসার সদস্যদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন।

“এরই প্রেক্ষিতে ঘটনার রাতেই দুইজনকে প্রত্যাহার করে শনিবার তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিকে তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন প্রাপ্তি সাপেক্ষে জড়িত আনসার সদস্যদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

তবে শাওন হোসেন নামে ভুক্তভোগী ওই বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধেই আনসার সদস্যদের গালাগাল করার অভিযোগ আনা হয়েছে এই সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে।

এতে বলা হয়, “মাকে করোনাভাইরাস পরীক্ষা করতে নিয়ে যাওয়া শাওন হোসেন তার মায়ের পরীক্ষার অনুমতি না পাওয়ায় আনসার সদস্যদের সাথে বাকবিতণ্ডা শুরু করে এবং গালিগালাজ দেয়।

“এ সময় সেখানে দায়িত্বরত এনএসআইয়ের ফিল্ড অফিসার মো. জয়নাল উক্ত শাওনকে গেটের ভিতরে নিয়ে যান এবং আনসার সদস্যদের গালিগালাজের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।”

এই অভিযোগ পুরোপুরি মিথ্যা দাবি করে শাওন শনিবার রাতে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, তিনি কাউকে ‘গালিগালাজ করেননি’। অনেকেই দেখেছেন। তারা ‘সাক্ষ্য দেবেন’।

“তবে আনসার সদস্যদের কাছে জানতে চেয়েছি, আপনারা যদি সিরিয়াল মেইনটেইন ঠিকমতো করেন তাহলে তো কারোরই ঝামেলা হয় না। এটাই তাদের ইগোতে লাগতে পারে।”

শুক্রবার ওই ঘটনার পর শনিবার ভোর ৪টায় গিয়ে সিরিয়াল দিয়ে বেলা সাড়ে ১১টায় তার মায়ের করোনাভাইরাস পরীক্ষার নমুনা দিয়েছেন বলে জানান শাওন।

শাওনের ওপর হামলার সময় ছবি তুলতে যাওয়া দুইজন ফটোসাংবাদিকের উপরও চড়াও হয়েছিলেন আনসার সদস্যরা।

এ বিষয়ে আনসারের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “শাওনের সাথে বাকবিতণ্ডা হওয়ার সময় সেখানে উপস্থিত দুই জাতীয় দৈনিক পত্রিকার দুজন ফটোসাংবাদিক ছবি তুলতে গেলে আনসার সদস্যরা ছবি না তোলার অনুরোধ জানালে এ নিয়ে বাদানুবাদের এক পর্যায়ে উভয়পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি এবং সামান্য হাতাহাতির ঘটনা ঘটে, যা অনভিপ্রেত।”

তবে এ বিষয়ে ওই ফটোসাংবাদিকদের একজন জয়ীতা রায় বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “তারা কোনো অনুরোধ তো করেইনি, উভয়পক্ষের মধ্যে কোনো কথা কাটাকাটিও হয়নি। বরং তারা মারার জন্য চড়াও হয়েছিল। তাদের হামলার কারণে আমার এক সহকর্মীর ক্যামেরার প্রটেক্টর ভেঙে যায়।”