শিক্ষার্থীদের সনদ ভাগাড়ে, হোস্টেল তত্ত্বাবধায়ক রিমান্ডে

মহামারীর মধ্যে ভাড়া দিতে না পারায় শতাধিক ছাত্রের সার্টিফিকেটসহ মূল্যবান মালামাল ময়লার ভাগাড়ে ফেলে দেওয়ার ঘটনায় গ্রেপ্তার রাজধানীর পূর্ব রাজাবাজারের একটি ছাত্রাবাসের তত্ত্বাবধায়ক খোরশেদ আলমকে একদিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছে আদালত।

আদালত প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 July 2020, 02:37 PM
Updated : 3 July 2020, 02:37 PM

ঢাকার মহানগর হাকিম মাসুদুর রহমান শুক্রবার ভিডিও কনফারেন্সে এই মামলার শুনানি নেন। এ সময় খোরশেদকে কোর্ট হাজতে রাখা হয়।

আদালত পুলিশের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা এসআই শরীফ সাফায়েত হোসেন জানান, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য খোরশেদকে তিন দিনের হেফাজতে চায় কলাবাগান থানা পুলিশ। এ সময় তার আইনজীবী আবদুল গনী রিমান্ড আবেদন বাতিল চেয়ে বলেন, এই ঘটনাটি ‘সাজানো’। ঘটনা সম্পকে তিনি ‘কিছু জানতেন না’।

উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে বিচারক এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

সময় টিভির ভিডিও থেকে নেওয়া ছবি

খোরশেদ আলম পূর্ব রাজাবাজার এলাকার আলিফ হোস্টেলের তত্ত্বাবধায়ক। হোস্টেলের শিক্ষারর্থীরা মহামারীতে ছুটিতে গিয়েছিলেন। ফিরে এসে দেখেন তাদের সার্টিফিকেট ও মালামাল ডাস্টবিনে ফেলে দেওয়া হয়েছে।

এ ঘটনায় এক ছাত্রের করা মামলায় খোরশেদকে শুক্রবার গ্রেপ্তার করে কলাবাগান থানা পুলিশ।

কলাবাগান থানার ওসি পরিতোষ কুমার বলেছেন, হোস্টেলের শিক্ষার্থীদের বেশি কিছু মালামাল খোরশেদের বাসা থেকে উদ্ধার হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, খোরশেদসহ আরও কেউ শিক্ষার্থীদের মালামালগুলো চুরি করে নিয়ে যায় এবং কিছু মালামাল ডাস্টবিনে ফেলে দেয়।

একই অভিযোগে আরেক ছাত্রের করা মামলায় মুজিবুল হক নামে আরেক বাড়িওয়ালাকে খুঁজছে পুলিশ।

মামলার বরাত দিয়ে ওসি পরিতোষ জানান, আলিফ হোস্টেলে ১৩০ জন শিক্ষার্থী এবং মুজিবুলের মালিকানাধীন কলাবাগানের ওয়েস্ট অ্যান্ড স্ট্রিটের রুবি ভবনে আরও আট শিক্ষার্থী ভাড়া থাকেন।

তাদের সবার সার্টিফিকেট ও মালামাল ডাস্টবিনে ফেলে দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় হোস্টেল কর্তৃপক্ষ ও বাড়ির মালিকের বিরুদ্ধে সজিব মিয়া ও সোয়ান মিয়া নামে দুই শিক্ষার্থী বৃহস্পতিবার রাতে আলাদা মামলা করেন।