কোন কর্মকর্তা কোন জেলার দায়িত্বে থাকবেন তা নির্ধারণ করে দিয়ে গত বুধবার আদেশ জারি করেছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়।
অতিরিক্ত সচিব শাহ মোহাম্মদ নাছিমকে রংপুর, অতিরিক্ত সচিব রঞ্জিত কুমার সেনকে লালমনিরহাট এবং অতিরিক্ত সচিব মো. আকরাম হোসেনকে নীলফামারী জেলার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
অতিরিক্ত সচিব শামীমা হককে সুনামগঞ্জ, অতিরিক্ত সচিব আলী রেজা মজিদকে বগুড়া, অতিরিক্ত সচিব মো. মোয়াজ্জেম হোসেনকে সিরাজগঞ্জ এবং অতিরিক্ত সচিব রওশন আরা বেগমকে কুড়িগ্রামের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া যুগ্ম-সচিব আবুল বায়েছ মিয়াকে গাইবান্ধা, যুগ্ম-সচিব মোমেনা খাতুনকে জামালপুর এবং যুগ্ম-সচিব শিখা সরকারকে রাজবাড়ী জেলার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের বন্য পরিস্থিতি তদারকি ও মানবিক সহায়তা কার্যক্রম সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রস্তুত করে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের জাতীয় দুর্যোগ সাড়াদান সমন্বয় কেন্দ্রের (এনডিআরসিসি) অতিরিক্ত সচিবকে অবহিত করতে বলা হয়েছে।
“এনডিআরসিসির অতিরিক্ত সচিব বন্যা পরিস্থিতি মনিটরিং ও মানবিক সহায়তা কার্যক্রমের সার্বিক সমন্বয়ের জন্য দায়িত্ব পালন করবেন এবং এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট কর্তপক্ষেকে অবহিত করবেন।”
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন, বন্যাদুর্গত জেলাগুলোতে ১০০ মেট্রিক টন করে চাল এবং ‘এ’ ক্যাটাগরির জেলায় ১০ লাখ এবং ‘বি’ ক্যাটাগরির জেলায় পাঁচ লাখ টাকা করে দেওয়া হয়েছে।
জুলাইয়ের শেষ থেকে অগাস্টের দ্বিতীয়-তৃতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত দীর্ঘাস্থায়ী বন্যার পূর্বাভাস রয়েছে জানিয়ে ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, বন্যার সময় যদি ত্রাণ বিতরণ করতে হয় সেই প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। প্রয়োজনীয় শুকনো খাবার, শিশু খাদ্য, নগদ টাকা মজুদ রাখা হচ্ছে।