এই হত্যাকাণ্ডে তার সহযোগী জুয়েল ব্যাপারীও (২০) দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার ঢাকার মহানগর হাকিম হাবিবুর রহমানের খাসকামরায় তারা ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
পরে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে ঢাকা মহানগর পুলিশের অপরাধ, তথ্য ও প্রসিকিউশন বিভাগের উপ-কশিমনার জাফর হোসেন জানিয়েছেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা যাত্রাবাড়ী থানার উপ-পরিদর্শক জহিরুল ইসলাম বৃহস্পতিবার দুজনকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করেন। তারা স্বেচ্ছায় ঘটনার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় তা রেকর্ডের আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা।
গত ২৭ জুন শিশু মাহিম নিখোঁজ হওয়ার পর তার বাবা জুলহাসের অনুরোধেই তদন্তে নামে র্যাব-১০। তদন্তে সংশ্লিষ্টতা পেয়ে গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় যাত্রাবাড়ীর মাতুয়াইল মৃধাবাড়ি এলাকা থেকে জুয়েলকে গ্রেপ্তার করেন তারা। জিজ্ঞাসাবাদে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে মাহিমের বাবা জুলহাসকে মাতুয়াইল দরবার শরীফ মোড় এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বুধবার বিকেলে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-১০ এর অধিনায়ক পুলিশের অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক মো. কাইমুজ্জামান খান হত্যারহস্য উন্মোচনের কথা জানান।
তিনি বলেন, বিদেশ যাওয়ার জন্য স্ত্রীর মাধ্যমে শ্বশুরবাড়ি থেকে চার লাখ টাকা না পেয়ে নিজের সন্তানকে হত্যার পরিকল্পনা করেন মাতুইয়ালে ভাঙ্গারির দোকানে কাজ করা জুলহাস (৩১)।
তার কথা মতো প্রতিবেশী জুয়েল গত শনিবার (২৭ জুন) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মাতুয়াইলের একটি বস্তির বাসার সামনে থেকে মাহিমকে ফুসলিয়ে নিয়ে যান। এরপর তারা শিশুটিকে ডেমরার দেইল্লার নির্জন এলাকায় নিয়ে জুসের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে পান করান। শিশু মাহিমকে অচেতন অবস্থায় সন্ধ্যায় মাতুইয়ালের মৃধাবাড়ি সংলগ্ন গ্রিন মডেল টাউন এলাকার কাশবনের ভেতর বালুচাপা দিয়ে রেখে আসেন জুলহাস ও জুয়েল।
পরে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সেখান থেকে শিশুটির লাশ উদ্ধার করে র্যাব।