ক্ষতিগ্রস্ত বুড়িগঙ্গা সেতু মেরামতে লাগবে ১৫ দিন: সওজ

উদ্ধারকারী জাহাজের ধাক্কায় ক্ষতিগ্রস্ত ঢাকার পোস্তগোলার বুড়িগঙ্গা সেতু মেরামত করে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে ১৫ দিন লাগতে পারে বলে জানিয়েছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। 

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 July 2020, 12:03 PM
Updated : 1 July 2020, 12:06 PM

সেতুর ক্ষতিগ্রস্ত অংশ স্টিলের জাল দিয়ে ঘিরে আপাতত সীমিত যান চলাচল শুরু করলেও পণ্যবাহী যান চলাচল শুরু করতে মেরামত পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।

সড়ক ও জনপথ বিভাগের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (ঢাকা অঞ্চল) সবুজ উদ্দিন খান বুধবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে এ তথ্য জানান।

গত সোমবার সকালে বড় একটি লঞ্চের ধাক্কায় সদরঘাটের কাছে বুড়িগঙ্গায় মর্নিং বার্ড নামের একটি ছোট লঞ্চ ডুবে গেলে ৩৪ জন মারা যান।

ডুবে যাওয়া লঞ্চটি উদ্ধারের জন্য ওইদিন দুপুরে নারায়ণগঞ্জ থেকে রওনা হয়েছিল উদ্ধারকারী জাহাজ ‘প্রত্যয়’। কিন্তু পানির উচ্চতা বাড়ায় বুড়িগঙ্গা সেতু অতিক্রম করার সময় সেতুর মাঝামাঝি গার্ডারে ধাক্কা লাগে জাহাজের ক্রেন। এতে সেতুর গার্ডারের ওই অংশে ফাটল তৈরি দেয়।

এরপর সোমবার রাত ৮টা থেকে ওই সেতুতে যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে সেতুতে সীমিতভাবে যান চালানো হচ্ছে।

সবুজ বলেন, “ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে দেখা গেছে ব্রিজের বেশ ক্ষতি হয়েছে। বুধবার আরেকটি বিশেষজ্ঞ দলের নিচ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত অংশ দেখে স্থায়ী মেরামতের ব্যাপারে পরামর্শ দেওয়ার কথা ছিল। তবে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি না থাকায় তা সম্ভব হয়নি।“

সেতুর কতটা ক্ষতি হয়েছে, তা যাচাইয়ে ভৈরব ও অন্যান্য স্থান থেকে যন্ত্রপাতি নিয়ে আনা হচ্ছে জানিয়ে সবুজ উদ্দিন বলেন, “আলট্রা এক্সরে, সাউন্ড মেশিন ইত্যাদি যন্ত্রপাতি দিয়ে পরীক্ষা করা হবে ব্রিজটির কতটুকু ক্ষতি হয়েছে।

“বিশেষজ্ঞ দল নিচ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত অংশ দেখার পর সিদ্ধান্ত দেবে, কীভাবে সেতুটি মেরামত করা যায়। আমরা সেই অনুযায়ী কাজ শুরু করব। কোন ধরনের মেরামত, হালকা না ভারী, তা তা বিশেষজ্ঞ দল সিদ্ধান্ত দেবে।”

উদ্ধারকারী জাহাজের ধাক্কায় ফাটল ধরেছে পোস্তগোলার বুড়িগঙ্গা সেতুর গার্ডারের; তাই সেতুর ওই অংশে বিপজ্জনক চিহ্ন লাগানোর কাজ চলছে। ছবি: মাহমুদ জামান অভি

মেরামতে কত দিন লাগতে পারে- জানতে চাইলে সবুজ বলেন, “ব্রিজের বেশ ক্ষতি হয়েছে এবং এটি মেরামতে সময় লাগবে। প্রাথমিকভাবে আমরা অনুমান করছি ১৫ দিন সময় লাগবে।

“১৫ দিন মানে এই নয় যে টানা ১৫ দিন (কাজ চলবে)। ব্রিজ মেরামতে হয়ত দেখা যাবে ২ দিন কাজ করে আবার ২ দিন সেই কাজ স্থায়ী করার জন্য বিরতি দিতে হচ্ছে, এভাবে ১৫ দিন সময় লাগবে।“

সওজর প্রধান প্রকৌশলী বলেন, করোনাভাইরাস মহামারী না হলে জাপান থেকে বিশেষজ্ঞ নিয়ে এসে খুব সহজেই সেতুটি মেরামত সম্ভব হত। কিন্তু বর্তমান সময়ে সে সুযোগ নেই।

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মেঘনা ও মেঘনা গোমতী সেতু মেরামতে জাপানি ওবায়েশি কর্পোরেশন কাজ করেছিল।

তাদের সহযোগিতা পাওয়ার চেষ্টা করলেও সফল না হলে বাংলাদেশে সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে বলে জানান সবুজ।