তিনি কোভিড-১৯ পরবর্তী সেকেন্ডারি নিউমোনিয়ায় ভুগছেন বলে জানিয়েছে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র।
কেন্দ্রের জিআর কোভিড-১৯ র্যাপিড ডট ব্লট কিট প্রকল্পের সমন্বয়ক মুহিব উল্লাহ খন্দকারের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কিডনির জটিলতা কারণে সপ্তাহে তিনবার ডায়ালাইসিস নেন জাফরুল্লাহ চৌধুরী। দীর্ঘ এক মাস রোগে ভুগে তার শরীর খুব দুর্বল।
“স্বরযন্ত্রে প্রদাহের কারণে বর্তমানে কথা বলা নিষেধ। মহান আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমত এদেশের হাজারের মানুষের দোয়া এবং সীমাহীন মানসিক দৃঢ়তায় তিনি রোগের রোগের সঙ্গে লড়ে যাচ্ছেন।”
গত ২৫ মে জাফরুল্লাহ চৌধুরী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার কথা জানান।
তার প্রতিষ্ঠানের উদ্ভাবিত কিটে (র্যাপিড ব্লট ডট) নমুনা পরীক্ষায় তার করোনাভাইরাস পজিটিভ আসে। পরে বিএসএমএমইউর আরটি-পিসিআর টেস্টেও একই ফল আসে।
আক্রান্ত হওয়ার পর প্রথম কয়েক দিন বাসাতেই আইসোলেশনে ছিলেন জাফরুল্লাহ। কিন্তু নিয়মিত ডায়ালাইসিস করাতে হয় বলে পরে তিনি ধানমণ্ডির গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে ভর্তি হন। সেখানে তিনি তিন দফা প্লাজমা থেরাপিও নেন।
২০ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর গত ১৩ জুন গণস্বাস্থ্যের কিটে নমুনা পরীক্ষায় তার নেগেটিভ আসে। পরদিন আওয়ামী লীগের প্রয়াত নেতা মোহাম্মদ নাসিমের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে হাসপাতাল থেকে সরাসরি বনানী কবরস্থানেও যান জাফরুল্লাহ।
১৫ জুন আরটি-পিসিআর কিটেও নমুনা পরীক্ষায় নেগেটিভ ফল আসে।
মঙ্গলবারের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সোমবার জাফরুল্লাহ চৌধুরীর সঙ্গে দেখা করে পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক এবিএম আবদুল্লাহ । অধ্যাপক এবিএম আবদুল্লাহ তার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে নিয়মিত জানাতে বলেন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জিআর কোভিড-১৯ র্যাপিড অ্যান্টিবডি কিট নিবন্ধন না পাওয়ায় তিনি ‘খুবই বিষন্ন’। তবে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর ও বিএসএমএমইউ কিটের উন্নয়নে সহায়তা করবে জানতে পেরে তিনি ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
“ডা. জাফরুল্লাহ্ আশাবাদী শিগগির এই কিট নিবন্ধন পাবে এবং বিএসএমএমইউ অ্যান্টিকেট কিটের পরীক্ষার কাজও শুরু করবে।”
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র জানিয়েছে, গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল কোভিড-১৯ রোগীদের জন্য শিগগিরই ১৫ শয্যার আইসিইউ ইউনিট চালু করতে যাচ্ছে। অসুস্থতার মধ্যেই ডা. জাফরুল্লাহ এজন্য অর্থ জোগাড়ের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।