৩৮তম বিসিএস: ২২০৪ জন পাচ্ছেন সরকারি চাকরি

আটত্রিশতম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করে বিভিন্ন ক্যাডারে ২ হাজার ২০৪ জনকে নিয়োগের সুপারিশ করেছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 June 2020, 11:36 AM
Updated : 30 June 2020, 11:36 AM

পিএসসির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ক্যাডার) আ ই ম নেছারউদ্দিন মঙ্গলবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে এ তথ্য জানান।

এই বিসিএসের লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় ৮ হাজার ৩৭৭ জন উত্তীর্ণ হলেও পদ না থাকায় দুই হাজার ২০৪ জনকে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ১ হাজার ৬১১ জন পুরুষ এবং ৫৯৩ জন নারী।

তাদের মধ্যে প্রশাসন ক্যাডারে ৩০৬ জন, পুলিশে ১০০ জন, স্বাস্থ্যে ২৯১ জন, কৃষিতে ২৪১ জন, নিরীক্ষা ও হিসাবে ৪৫ জন, আনসারে ৩৮ জনসহ বিভিন্ন ক্যাডারে দুই হাজার ২০৪ জনকে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছে।

কয়েকটি কারিগরি ও পেশাগত ক্যাডার পদে কৃতকার্য প্রার্থী না পাওয়ায় ১৯৬টি পদে প্রার্থী সুপারিশ করা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছে পিএসসি।

এই বিসিএসের চূড়ান্ত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েও ক্যাডার পাননি ৬ হাজার ১৭৩ জন। তাদের পরে নন-ক্যাডার পদে নিয়োগ দেওয়ার সুযোগ রয়েছে।

চূড়ান্ত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েও যারা ক্যাডার পান না, তাদের মধ্য থেকে প্রথম শ্রেণির নন-ক্যাডার পদে নিয়োগ দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয় ৩১তম বিসিএস থেকে।

বিসিএসে উত্তীর্ণদের মধ্য থেকে (যারা ক্যাডার পায়নি) দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দিতে ২০১৪ সালের ১৬ জুন নন-ক্যাডার পদের নিয়োগ বিধিমালা সংশোধন করে সরকার।

বিসিএসের চূড়ান্ত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েও যারা ক্যাডার পায়নি তাদের মধ্য থেকে যারা প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির নন-ক্যাডার পদে নিয়োগ পেতে চান, তাদেরকে আলাদাভাবে কমিশনে আবেদন করতে হয়।

২০১৭ সালে ২০ জুন ৩৮তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে কমিশন। ৩ লাখ ৪৬ হাজার ৪৪৬ জন প্রার্থী আবেদন করলেও তাদের মধ্যে ২ লাখ ৮৮ হাজার ৮৯৯ জন প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় অংশ নেন।

তাতে উত্তীর্ণদের মধ্যে ১৪ হাজার ৫৪৬ জন লিখিত পরীক্ষা দিয়েছিলেন। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ৯ হাজার ৮৬২ জনকে মৌখিক পরীক্ষার জন্য মনোনীত করা হয়।

তাদের মধ্য থেকে ২ হাজার ২০৪ জনকে পিএসসি এবার চূড়ান্তভাবে বাছাই করল।