শ্রমিকদের বিদায় দেওয়ার সরকারি সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে স্কপ বলেছে, পাটকলগুলোর সমস্যা পুরনো প্রযুক্তি, সেখানে আধুনিকায়ন না ঘটলে কারখানাগুলো লাভজনক করা যাবে না।
Published : 29 Jun 2020, 01:49 AM
ধারাবাহিকভাবে লোকসানে থাকা রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলগুলোর প্রায় পঁচিশ হাজার স্থায়ী শ্রমিককে স্বেচ্ছা অবসরে (গোল্ডেন হ্যান্ডশেক) পাঠানোর সিদ্ধান্ত রোববার সকার ঘোষণার পর পাটকল আধুনিকায়নে এই সুপারিশ করেছে স্কপ।
শ্রমিক-কর্মচারী ঐক্য পরিষদের (স্কপ) পক্ষ থেকে শ্রম প্রতিমন্ত্রীকে এই সুপারিশ দেওয়া হয়।
সুপারিশে বলা হয়েছে, ~আমরা হিসাব করে দেখিয়েছি যে, ৬ হাজার কোটি টাকা ব্যয় করে শ্রমিক ছাঁটাই অথবা ৫ হাজার কোটি টাকা ব্যয় করে বিএমআরইয়ের মাধ্যমে সংস্কারের বিজেএমসির পরিকল্পনা রাষ্ট্রীয় পাট শিল্পের সংকট সমাধান করবে না।
“শত বছরের পুরোনো টেকনোলজি দ্বারা পরিচালিত সল্প উৎপাদনশীল এই শিল্প বিএমআরই করে সংকট দূর করার কোনো সম্ভাবনা নেই। উন্নত ও স্বয়ংক্রিয় প্রযুক্তির তাঁত, ভিম, ওয়ার্প ওয়েভিং ক্রয়ে মাত্র ১ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগের মাধ্যমে উৎপাদন ক্ষমতা তিন গুণ বৃদ্ধি করা সম্ভব।”
শ্রমিকদের বিদায় দিয়ে পিপিপির (সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্ব) আওতায় পাটকলগুলোর আধুনিকায়ন করে উৎপাদনমুখী করার পরিকল্পনা করেছে সরকার। পাটমন্ত্রী বলেছেন, তাতে শ্রমিকদের ফের কাজের সুযোগ ঘটবে।
স্কপ বলেছে, “করোনা দুর্যোগের এই সময়ে শ্রমিক ছাঁটাইয়ের ঘোষণা বেসরকারি মালিকদের শুধু উৎসাহিত করবে তাই নয়, তাদেরকে বেপরোয়া করে তুলবে।
“বেসরকারি মালিকরা নানা অজুহাতে স্থায়ী শ্রমিকদের ছাঁটাই করে পরবর্তীতে কম মজুরিতে অস্থায়ী শ্রমিক নিয়োগের কৌশল গ্রহণ করবে, যা সমগ্র শিল্পখাতকে একটি অস্থির অবস্থার দিকে ধাবিত করবে এবং এর ফলে শ্রমিকদের মধ্যে ক্ষোভ ও বিক্ষোভের সৃষ্টি করবে। যার ফলে শিল্পের পরিবেশ মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হবে।”
স্কপের পক্ষে এই সুপারিশমালায় স্বাক্ষর করেছেন বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সভাপতি সহিদুল্লা চৌধুরী, জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি কামরুল আহসান, সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের সভাপতি রাজেকুজ্জামান রতন, ট্রেড ইউনিয়ন সংঘের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী আশিকুল আলম।