রোববার সংগঠনটির আহবায়ক অধ্যাপক ডা. রশিদ-ই-মাহবুব ও সদস্য সচিব অধ্যাপক ডা. শাকিল আখতার এক বিবৃতিতে এই শঙ্কা জানিয়ে সরকারের এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানান।
বিবৃতিতে বলা হয়, “আমাদের মতো দেশে বিশেষ করে শহর-নগরে পশুর হাট বসলে কোনোভাবেই শারীরিক দূরত্ব ও অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি কার্যকর করা সম্ভব হবে না।
“সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পশুর হাট বসলে করোনা সংক্রমণের হারের সাথে মৃত্যু হারও বৃদ্ধি পাবে, বৃদ্ধি হবে গরিব মানুষের ভোগান্তি।”
এক গবেষণা প্রতিবেদনের তথ্য তুলে ধরে তারা বলেন, এভাবে শারীরিক দূরত্ব ও অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি অমান্য করা হলে করোনাভাইরাসে আরও প্রায় পৌনে দুই কোটি লোক দরিদ্র হবে, অর্থাৎ ক্ষুধার্ত মানুষের সংখ্যা আরও বাড়বে।
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মধ্যে কোরবানি না করে সেই অর্থ দরিদ্র মানুষের সহায়তায় দেওয়ার বিবেচনা করতে মুসলমানদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ডক্টরস প্ল্যাটফর্ম ফর পিপলস হেলথ।
অন্যদিকে সংগঠনটি স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাড়িতে পোষা পশু, অনলাইনে বা সরাসরি গৃহস্থ থেকে পশু কিনে কোরবানি করার পরামর্শ দিয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, “সরকার পশুর হাট বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যা বাস্তবায়িত হলে ইজারাদারদের পকেট ভারী হবে বটে; কিন্তু করোনার সংক্রমণ মারাত্মক রূপ নেবে ও মৃত্যুর মিছিল দীর্ঘ হবে।”
সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী ভর্তি হতে পারছে না এবং অনেকেই বিনা চিকিৎসায় মারা যাচ্ছে উল্লেখ করে এই দুই চিকিৎসক বলেন, প্রয়োজনীয় অক্সিজেন সরবরাহের অভাবে বিনা অক্সিজেনে রোগীর করুণ মৃত্যু ঘটছে। এরূপ পরিস্থিতিতে কাজ হারানো-উপার্জনহীন- গরিব-হতদরিদ্র মানুষের ঘরে ঘরে খাবার ও চিকিৎসা সেবা পৌঁছে দিয়ে আরও কঠোর ও কার্যকর লকডাউন ব্যবস্থার দরকার।