তার সঙ্গে গ্রেপ্তার প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা সাঈদ চৌধুরীকেও শনিবার নতুন দুই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠিয়ে দেন ঢাকার মহানগর হাকিম ধীমান চন্দ্র মণ্ডল।
দুজনকে এক মামলায় হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের পর পুলিশ নতুন দুই মামলায় হেফাজতে চাইলেও হাকিম সেই আবেদন নাকচ করেন।
তেজগাঁও থানায় করা প্রতারণার এই দুই মামলায় তাদের তিন দিনের হেফাজতে চেয়ে আবেদন করেছিলেন তদন্ত কর্মকর্তা এসআই তৌফিক হোসেন।
আসামিদের পক্ষে জামিন আবেদন হলেও তা নামঞ্জুর করেন বিচারক।
আরিফ ও সাঈদের প্রতিষ্ঠানের কর্মী বিপ্লব দাস ও মামুনুর রশীদকেও প্রথম মামলায় দুদিন হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে শনিবার কারাগারে পাঠানো হয়। তবে তাদের নতুন মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়নি।
এছাড়া গ্রেপ্তার জেকেজির সাবেক কর্মী হুমায়ুন কবির ও তার স্ত্রী তানজীনা পাটোয়ারীর স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি নিয়ে তাদেরও কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক।
করোনাভাইরাস পরীক্ষা নিয়ে প্রতারণার অভিযোগে গত ২৩ ও ২৪ জুন এই ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, হুমায়ুন কবির এই প্রতারক চক্রের হোতা। তিনি ও তার স্ত্রীর নেতৃত্বে চক্রটি রাজধানীর বিভিন্ন বাড়িতে গিয়ে করোনাভাইরাস পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করত এবং ভুয়া সনদ দিত। এজন্য জনপ্রতি ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা নিত।
এরকম ৩৭ জনের ভুয়া কোভিড-১৯ পরীক্ষার সনদ দেওয়ার কথা তারা স্বীকার করেছেন বলে পুলিশের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
হুমায়ুনকে গ্রেপ্তারের পর তার দেওয়া তথ্যে গুলশানে জেকেজির অফিসে অভিযান চালিয়ে অন্যদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
জেকেজি বিনামূল্যে করোনাভাইরাসের নমুনা সংগ্রহের কাজটি করবে বলে সরকারের কাছ অনুমতি নিয়ে বুকিং বিডি ও হেলথকেয়ার নামে দুটি সাইট খুলে টাকা নিয়ে নমুনা সংগ্রহ ও ভুয়া সনদ দিচ্ছিল বলে পুলিশের দাবি।
তেজগাঁও থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কামাল উদ্দীন বলেন, “বুকিং বিডি ও হেলথ কেয়ারের স্বীকৃত কোনো প্রতিষ্ঠানের অনুমোদন নেই। তারপরও বাড়ি বাড়ি গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করে ভুয়া রিপোর্ট দিয়ে আসছিল।”
এই ঘটনা প্রকাশ পাওয়ার পর জেকেজির অনুমোদন বাতিল করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।