দেশে এসে করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীদের সেবা দিতে চাওয়ার পর ‘মিথ্যা রটনার চক্করে’ ভোগান্তির শিকার হওয়া যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী চিকিৎসক ডা. ফেরদৌস খন্দকার বলেছেন, যারা তাকে এই পরিস্থিতিতে ফেলেছে, তাদের উচিৎ ক্ষমা চাওয়া।
Published : 24 Jun 2020, 08:33 PM
“তাদের বিচার হওয়া উচিৎ কিনা আমি দেশবাসীর কাছে প্রশ্ন করব। আর যদি না করেন বিচার, সামনে আপনাদের অনেক মানুষের পেছনে এরকম লেলিয়ে দেওয়া হবে।”
চৌদ্দ দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন শেষে মুক্ত হওয়ার পর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে এক একান্ত সাক্ষাৎকারে নিজের হতাশা আর ক্ষোভের কথা বলেছেন এই চিকিৎসক।
তিনি বলেছেন, দেশের মানুষের সেবা করার যে লক্ষ্য নিয়ে তিনি এসেছিলেন, সেই লক্ষ্য থেকে পিছপা হবেন না।
নিউ ইয়র্কের মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ফেরদৌস কোভিড-১৯ মহামারী শুরুর পর জ্যাকসন হাইটসে সাধারণ মানুষকে চিকিৎসা সেবা দিয়ে তিনি আলোচিত হন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিও বার্তা দিয়ে দেশের মানুষকে সচেতন করার উদ্যোগ নিয়েও সাড়া ফেলেন।
সম্প্রতি তিনি দেশে এসে একটি স্বাস্থ্য কেন্দ্র গড়ে তোলার পাশাপাশি মানুষের পাশে থেকে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেন। তারপর শুরু হয় নানান জটিলতা।
তাকে ‘বঙ্গবন্ধুর খুনির আত্মীয়’ হিসেবে বর্ণনা করে, অথবা ‘জামায়াত-শিবিরের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার’ অভিযোগ তুলে এক ধরনের প্রচার শুরু হয় ফেইসবুকে, যা তিনি বরাবরই অস্বীকার করে এসেছেন।
এরমধ্যেই গত ৭ জুন কাতার এয়ারওয়েজের একটি বিশেষ ফ্লাইটে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ঢাকায় পৌছান ডা. ফেরদৌস। ওই ফ্লাইটের ১২৯ জন যাত্রীর মধ্যে ১২৮ জনকে হোম কোয়ারেন্টিনে পাঠিয়ে ফেরদৌসকে পাঠানো হয় প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে।
এ বিষয়টি নিয়েও পক্ষ-বিপক্ষে তুমুল আলোচনা চলে ফেইসবুকে। ডা. ফেরদৌসও কোয়ারেন্টিনে থাকা অবস্থায় বিভিন্ন সময়ে ফেইসবুকে পোস্ট দিয়ে নিজের অবস্থা জানিয়েছেন, সমালোচকদের জবাব দিয়েছেন।
২১ জুন কোয়ারেন্টিন থেকে মুক্ত হওয়ার পর ফেরদৌস খন্দকার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের মুখোমুখি হন। তিনি বলেন, এবার দেশে ফিরে তার যে অভিজ্ঞতা হয়েছে, তা কোনোভাবেই তার ভাবনায় ছিল না।
“এয়ারপোর্টে নামামাত্র আমাকে বলা হল, 'পাসপোর্টটা দেন, ফলো মি'। খুবই অপ্রত্যাশিত অভিজ্ঞতা।”
বিষয়টা মানতে না পারলেও নিয়ম মানতে হয়েছে জানিয়ে এই চিকিৎসক বলেন, “সরকার মনে করেছে আমাকে কোয়ারেন্টিন করা উচিৎ, সেই নিয়ম মানতেই হবে।”
ফেরদৌস জানান, এবার তিনি দেশে এসেছিলেন তিন সপ্তাহের সময় নিয়ে। উদ্দেশ্য ছিল কোভিড-১৯ রোগীদের সেবা দেওয়া এবং বনানীতে একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্র গড়ে তোলার জন্য কাজ শুরু করা। কিন্তু এর মধ্যে দুই সপ্তাহ প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে থাকতে বাধ্য হওয়ায় তার সেই পরিকল্পনা ধাক্কা খেয়েছে।
“প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন না থেকে আমি যদি বাসায় কোয়ারেন্টিনে থাকতে পারতাম তাহলে এর মধ্যে সেট আপ করে যেতে পারতাম। আমি কোয়ারেন্টিনের শুরুতে মানসিকভাবে কিছুটা ভেঙে পড়েছিলাম। ইন্টারনেট ভালো ছিল না, যোগাযোগে সমস্যা হয়েছে। দুই সপ্তাহ চলে গেল, আর ৪/৫ দিন আছে। কিন্তু আমি সেট আপ করেই যাব। করোনা পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত আমি বাংলাদেশের পাশে থাকব।”
ডা. ফেরদৌস বলেন, স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার জন্য একটি 'টিম' তিনি গঠন করেছেন, স্থানীয় ১০ জন ডাক্তার, ১০ জন কর্মচারী নেওয়া হয়েছে। আরও ৫০ থেকে ৬০ জন মেডিকেল স্টুডেন্টকে রাখা হয়েছে পুলে, যেন তারা প্রতিদিন অসুস্থ রোগীদের কল করতে পারে।"
স্বাস্থ্যকেন্দ্রের জন্য বনানীতে একটি ভবন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে মৌখিক আলাপ করেছিলেন ফেরদৌস। কিন্তু সেই ভবন স্বাস্থ্য সেবার কাজেই অন্য কোনো সংস্থাকে দিয়ে দেওয়া হয়েছে। এখন ঢাকায় নতুন জায়গা খুঁজছেন তারা।
ঢাকায় কমিউনিটিতে থাকা রোগীদের ৩ মাস সেবা দেওয়ার প্রাথমিক লক্ষ্য ছিল জানিয়ে ফেরদৌস বলেন, “প্রতিদিন ১০ জন ডাক্তার নিয়োগ করে সার্বক্ষণিক ৬ জন সেবায় নিয়োজিত থাকলে কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে দিনে আনুমানিক ৩০০ রোগীর সেবা দেওয়া যেত। অন্তত ৩ মাস কাজ করলে আনুমানিক ২৭০০ রোগীকে ঢাকায় সেবা দেওয়া যেত।”
ঢাকার কাজ শুরু করে পরে কুমিল্লা ও চট্টগ্রামে আরও দুইটি স্বাস্থ্যকেন্দ্র খোলার লক্ষ্যের কথাও তিনি বলেছেন।
কিন্তু নিউ ইয়র্কের একজন চিকিৎসক বাংলাদেশে এসে আইনগতভাবে চিকিৎসা সেবা দিতে পারেন কি না, সেই প্রশ্ন তুলেছেন কেউ কেউ।
এ বিষয়ে ডা. ফেরদৌসের উত্তর, তিনি এমবিবিএস করেছেন বাংলাদেশে। দেশে চিকিৎসা সেবা দেওয়ার ‘লাইসেন্সও’ তার আছে।
“আর আমিতো হাসপাতালে নয়, কমিউনিটিতে থাকা ৯৭ শতাংশ কোভিড-১৯ রোগীকে সেবা দিতে চেয়েছি। আমার পাসপোর্ট, ভিসা দেখলে বুঝবেন, আমি প্রতি তিন থেকে চার মাসে বাংলাদেশে এসেছি ৭ থেকে ১০ দিনের জন্য। আমার বাংলাদেশে আমি আসব, কার থেকে পারমিশন নেব? আমি কি চোর না বাটপার?”
বাংলাদেশের মহামারী পরিস্থিতি
দেশে কোভিড-১৯ মহামারী এখন 'পিকে' আছে বলে ডা. ফেরদৌস খন্দকারের ধারণা।
“যুক্তরাষ্ট্রে 'পিক' এসেছে করোনা শুরুর দুই থেকে তিন সপ্তাহের মাথায়। বাংলাদেশে কেন ৬ মাস পরে আসবে? আমার মনে হয়, পিকের যদি তিনটি অংশ ধরা হয়, আমরা দ্বিতীয় অংশ পার করছি এই মুহূর্তে।
“প্রথম অংশে সম্মুখের মানুষগুলো যারা কাজ করে, তরুণ, তারা আক্রান্ত হয়েছে। দ্বিতীয় অংশে তাদের মাধ্যমে পরিবারের মা-বোনরা আক্রান্ত হয়েছে। যেটি আমরা এখন দেখছি, একই পরিবারের হয়তো নয়জন আক্রান্ত।"
তার আশঙ্কা, মহামারী ছড়িয়ে পড়ার চূড়ার শেষভাগে এক মাসের মধ্যে হয়ত প্রবেশ করবে বাংলাদেশ।
"তৃতীয় অংশে বয়স্ক যারা বাড়ির ভেতরে ছিল তাদেরকেও ধরবে। মৃত্যুটা তখন বেশি আসে। আমার কাছে ক্লিনিক্যালি মনে হচ্ছে আমরা দ্বিতীয় অংশে আছি, তিন সপ্তাহ থেকে এক মাসের মধ্যে তৃতীয় অংশে পৌঁছে যাব।
“তখন যদি লকডাউন ফলো করতে পারি তাহলে এটা ফ্ল্যাটে থাকবে, আরও দুই থেকে তিন সপ্তাহ। সবার মধ্যে লকডাউন মেনে চলার প্রবণতা বাড়ানো জরুরি। সরকার চেষ্টা করছে। মানুষকেও সচেতন হতে হবে।"
সমালোচনার জবাব
কোভিড-১৯ মহামারিতে যুক্তরাষ্ট্রের জ্যাকসন হাইটসে স্বাস্থ্য সেবা দেওয়ার পাশাপাশি বাড়ি বাড়ি গিয়ে ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করে আলোচিত হন ডা. ফেরদৌস। তবে, 'প্রচারপ্রিয়' হিসেবে তার সমালোচনাও হয়েছে।
সমালোচনার উত্তরে তিনি বলেন, “দেখুন আমিতো কাজ করে প্রচার করেছি, কাজ না করে প্রচার করিনি। প্রচার কেন করেছি? যাতে অন্য মানুষ এসব দেখে উদ্বুদ্ধ হয়।”
ডা. ফেরদৌস জানান, যুক্তরাষ্ট্রের মাউন্ট সিনাই কুইন্স হসপিটাল এবং প্রেসবাইটেরিয়ান কুইন্স হসপিটালে চিকিৎসক হিসেবে তিনি 'অ্যাফিলিয়েটেড'। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে তার তিনটি ক্লিনিক আছে, সাতজন ডাক্তার তার সাথে কাজ করেন।
যুক্তরাষ্ট্রে ডাক্তারির লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে যে কথা ফেইসবুকে এসেছে, তা নাকচ করে তিনি বলেন, “লাইসেন্স ছাড়া কীভাবে যুক্তরাষ্ট্রের মত জায়গায় কাজ করা যায়? ইন্টারনেটে সার্চ করলেই জানা যাবে আমার লাইসেন্স আছে কিনা।”
যুক্তরাষ্ট্রে ডাক্তারির পাশাপাশি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথেও সম্পৃক্ত ডা. ফেরদৌস। স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন শেখ রাসেল ফাউন্ডেশনের প্রেসিডেন্ট তিনি।
ফেরদৌস খন্দকারের ধারণা, যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসীদের কেউ কেউ হয়ত তার জনপ্রিয়তা দেখে‘হিংসার বশে’ সরকারকে ‘ভুল বার্তা’ দিয়েছে। তার মধ্যে ‘স্পর্শকাতর বিষয়ও’ ছিল, সে কারণে সরকারও হয়তো ‘নড়েচড়ে বসেছে’।
কী ছিল সেসব ‘স্পর্শকাতর’ বিষয়ের মধ্যে? সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেরদৌসের রাজনৈতিক পরিচয় নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছিল। কেউ বলছিলেন, এই চিকিৎসক একসময় ছাত্রদলের সাথে জড়িত ছিলেন। আবার কেউ শিবিরের সাথে সম্পৃক্ততার কথা বলছিলেন।
ফেরদৌস বলছেন, রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা তার ছিল, সেটা ছাত্রলীগের সঙ্গে। মেডিকেলে ফার্স্ট ইয়ারে পড়ার সময় তার বয়স ১৮ বছর। ১৯৯১ সালের নির্বাচনে তিনি ছিলেন অধ্যাপক সাহারা খাতুনের পোলিং এজেন্ট।
“তিনি সম্পর্কে আমার খালা হন। তখন শাহীন কলেজ কেন্দ্র থেকে আমাকে বের করে দেওয়া হয়েছে, আমি যাইনি। ফাইট করেছি জামায়াত, বিএনপির বিপক্ষে। সাহারা খাতুন এখনও জীবিত আছেন; খালাকে জিজ্ঞেস করতে পারেন।”
চট্টগ্রাম মেডিকেলের এই সাবেক ছাত্র বলেন, ছাত্রলীগ করতে বলে মাসের পর মাস তিনি সে সময় ক্যাম্পাসে ঢুকতে পারেননি।
“তখনকার ছাত্রদল, ছাত্রশিবির যারা করেছে, তাদের জিজ্ঞেস করুন- এই ছেলের রঙ কী ছিল? তারা বলে দেবে আমি কী ছিলাম। সেখানে কতগুলো কুলাঙ্গার বিদেশ থেকে বলছে আমি ছাত্রদল করেছি!
“আই টেক দ্য চ্যালেঞ্জ। লেটস সি ইফ ইউ ক্যান প্রুভ ইট… আই ডিজার্ভ অ্যান অ্যাপোলজি ফ্রম দেম– ‘উই আর স্যরি টু পুট ইউ থ্রু দিস’।”
আরও গুরুতর কথা ফেইসবুকে এসেছে ফেরদৌস খন্দকারকে ঘিরে। বলা হয়েছে, তিনি খন্দকার মোশতাক আহমেদের ‘ভাতিজা অথবা ভাগ্নে’।
ফেরদৌস খন্দকার বলছেন, এ বিতর্কের শুরুটা হয়েছিল গতবছর ১৬ অগাস্ট। তার আগে কখনও তাকে এমন প্রশ্নের সামনে পড়তে হয়নি।
জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ প্রতি বছর ওই দিনটিতে রক্তদান কর্মসূচির আয়োজন করে। আগে যিনি কাজটি করতেন, তিনি সে সময় দায়িত্বটি নিতে না পারায় ভার পড়ে ফেরদৌসের ওপর।
“আমাকে বলার পর একদিন সময়ের মধ্যে ওই প্রোগ্রাম আমি আয়োজন করতে সক্ষম হই। প্রোগ্রামের পুরো আলো আমার ওপর পড়ছে, স্পষ্ট বুঝতে পারছিলাম।… তখনই বুঝতে পারলাম, অনেকের বিরাগভাজন হয়ে যাচ্ছি।
“এর পরের দিনই দেখলাম, লাইভে এসে (যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের) মাতাল একজন কর্মী এই অভিযোগ তোলেন প্রথম, যে আমি খন্দকার মোশতাকের ভাতিজা। তখন থেকে উনারা এটা প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা শুরু করে। তারা এই ট্রাম্প কার্ড ব্যবহার করতে চাইলেন আমাকে কীভাবে কুপোকাত করা যায়। উনারা ঢাকায় 'ম্যাসেজ' পাঠান। তখন ঢাকাতে তদন্ত হয়েছে বলেও আমি জানি।”
তাহলে সত্যটা কী?
ফেরদৌস খন্দকার বলেন, “সত্য হল, তিনি (খন্দকার মোশতাক) আমার আত্মীয়ই নন। আমার দাদা ছিলেন মধ্যবিত্ত বা নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবারের এক ছেলে, যিনি কোলকাতায় মৃত্যুবরণ করেন। আমার বাবাও ছিলেন পরিবারের এক ছেলে। তাই, কারও ভাতিজা হওয়ার সুযোগ নাই আমার।
“এখন আসুন ভাগ্নে প্রসঙ্গে। আমার ছয় জন মামা। সবাই যুক্তরাষ্ট্রে থাকেন, প্রথম দুইজন মুক্তিযোদ্ধা। এর মধ্যে পাঁচ নম্বর মামার নাম মোশতাক আহমেদ। তারা এই মোশতাক আহমেদের সাথে খন্দকার মোশতাক আহমেদকে 'কানেক্ট' করার চেষ্টা করেছে। আমার এই মামা একজন ইঞ্জিনিয়ার, বস্টনে থাকেন এবং জীবিত আছেন।”
ডা. ফেরদৌস বলেন, ‘গোয়েন্দা সংস্থাগুলো’ এবং সাংবাদিকরা গত দুই সপ্তাহ তার গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার দেবিদ্বারে এবং তার কর্মীদের সবার বাড়ি ঘুরে এসেছে। তারা কোথাও কোনো ধরনের ‘সম্পৃক্ততা পায়নি’।
“তাই আমার প্রশ্ন, যারা এই কাজটি করাল সরকারকে দিয়ে, সরকারের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো কী তাদের কাছে প্রশ্ন করবেন এখন? যারা সোর্স দেবে, তাদেরও তো রেসপনসেবলিটি আছে।”