সোমবার ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে চীনা প্রতিনিধি দলকে বিদায় জানানোর সময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ বিষয়ে কথা বলেন।
তিনি বলেন, “করোনাভাইরাসে আক্রান্তের হার এভাবে বৃদ্ধি পেতে থাকলে আরও দুই হাজার নতুন চিকিৎসক নিয়োগ দেয়া হবে। পাশাপাশি মেডিকেল টেকনোলজিস্ট নিয়োগের কাজও বর্তমানে চলমান রয়েছে। পরিস্থিতি আগামীতে যে রকম হবে সরকার সেভাবেই বুঝেশুনে পদক্ষেপ নেবে।”
গত বছরের ডিসেম্বর শেষে চীনের উহান শহরে প্রথম দেখা দেওয়ার কয়েক মাসের মাথায় সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়ে নতুন করোনাভাইরাস।
কঠোর লকডাউনের মাধ্যমে চীন ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে পারলেও বৈশ্বিক মহামারীতে রূপ নেওয়ার পর বাংলাদেশে আক্রান্তের সংখ্যা চীনকে ছাড়িয়ে গেছে।
সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত দেশে শনাক্ত হওয়া কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ১৫ হাজার ৭৮৬ জনে, তাদের মধ্যে ১ হাজার ৫০২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এর আগে রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের কোভিড-১৯ পরিস্থিতি দেখার অভিজ্ঞতা জানাতে গিয়ে নিজেদের হতাশা প্রকাশ করেন চীনা বিশেষজ্ঞরা।
তাদের পর্যবেক্ষণ তুলে ধরে ঢাকায় চীন দূতাবাসের মিশন উপ-প্রধান হুয়ালং ইয়ান বলেন, “এদেশে সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতার খুবই অভাব। এটা দেখে চীনা চিকিৎসকদের বিশেষজ্ঞ দল ভীষণ হতাশ।”
অবশ্য স্বাস্থ্যমন্ত্রী সোমবার বলেন, কোভিড-১৯ প্রতিরোধে বাংলাদেশের কাজে চীনা দল ‘সন্তুষ্ট’ হয়েছে।
“তবে আরও কিছু জায়গায় উন্নতি করার সুযোগ রয়েছে বলেও প্রতিনিধি দল সরকারকে জানিয়েছেন। আমরাও সামনের দিনগুলোতে চিহ্নিত জায়গাগুলো নিয়ে আরও কাজ করব।”
“কোনো কারণে সঙ্কট তৈরি হলেও তা খুব দ্রুত মেটানোর ব্যাবস্থা সরকার নিয়েছে। কাজেই কিট নিয়ে এই মুহূর্তে উদ্বেগের কোনো কারণ নেই।”
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, “চীন করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে।তাদের কাজে অগ্রগতিও অনেক। এই ভ্যাকসিন আবিষ্কার হলে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সবার আগে বাংলাদেশকে পাঠাবে বলে চীন সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।”
অন্যদের মধ্যে চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।