শনিবার দুপুরে সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে মানববন্ধনে ছাত্রলীগের নেতাকর্মী, রাজিবের বন্ধু ও সহপাঠীসহ অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেন।
গত বৃহস্পতিবার (১৮ জুন) টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে গাছের আম পাড়া নিয়ে রাজিবের সাথে চাচাত ভাই জিহাদের ঝগড়া হয়।ঝগড়ার এক পর্যায়ে জিহাদ ধারালো ছুরি দিয়ে আঘাত করলে রাজিব গুরুতর আহত হয়ে মারা যান। পুলিশ এখনও জিহাদকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
মানববন্ধনে বক্তারা রাজিবের হত্যাকারীকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান।
মানববন্ধনে রাজিবের বন্ধু হাসান রাশিদুজ্জামান বিপ্লব বলেন, “মেহেদী ছিল নম্র-ভদ্র মানুষ। তাকে হত্যা করেছে একজন সন্ত্রাসী। অতি দ্রুত এই সন্ত্রাসীকে আইনের আওতায় আনতে হবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাকে দ্রুত আইনের আওতায় এনে আমাদের সবার শোকের মাতম কিছুটা লাঘব করবে।”
রাজিবের আরেক বন্ধু মেহেদী হাসান রনি বলেন, “পারিবারিক সহিংসতা কিংবা যেভাবেই হোক তাকে হত্যা করা হয়েছে। হত্যার তিনদিন পেরিয়ে গেলেও খুনি জিহাদকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অপরাধীদের ধরার ক্ষেত্রে সফলতা দেখিয়েছে। আমরা আশাবাদী এই ঘটনায় খুনিকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনা হবে।”
মানববন্ধন সঞ্চালনা করেন জহুরুল হক হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সোহানুর রহমান সোহান। এতে সংহতি প্রকাশ করে উপস্থিত ছিলেন ডাকসুর সাংস্কৃতিক সম্পাদক আসিফ তালুকদার, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সৈয়দ আরিফ হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক মুজাহিদুল ইসলাম সোহাগ, উপ-সম্পাদক রিয়াদ হাসান ও ছাত্রলীগের সাবেক উপ সম্পাদকলতিফুল ইসলাম নিপুল প্রমুখ।
মেহেদী মোস্তফা রাজিব ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ২০০৬-০৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি জহুরুল হক হল শাখার ছাত্রলীগের সাবেক আইন বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। দুই বছর আগে লেখাপড়া শেষ করে তিনি ঢাকায়ই আইন চর্চা করছিলেন। করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে তিনি গ্রামের বাড়ি গিয়েছিলেন।