মঙ্গলবার ঢাকার মহানগর হাকিম জসীম উদ্দিন তদন্ত কর্মকর্তার পুরনো রিমান্ড আবেদনের ভার্চুয়াল শুনানি নিয়ে মিনহাজ মান্নানসহ গ্রেপ্তার চার আসামিকে কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দেন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের পরিচালক মিনহাজ মান্নান বাদে অন্য তিন আসামি হলেন কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোর, রাষ্ট্রচিন্তার সংগঠক দিদারুল ভূইয়া ও ব্যবসায়ী মুশতাক আহমেদ।
গ্রেপ্তারের পর গত মে মাসের শুরুতে তাদের ৭ দিনের রিমান্ডে চেয়ে আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা এসআই জামসেদুল ইসলাম।
কিন্তু করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে আদালতে নিয়মিত শুনানি না হওয়ায় তা ঝুলে ছিল।
মঙ্গলবার ভার্চুয়াল শুনানিতে আসামিদের হাজির করা হয়নি।
ঢাকা মহানগর পুলিশের অপরাধ, তদন্ত ও প্রসিকিউশন বিভাগের উপকমিশনার মো. জাফর হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, আসামিদের কারাগারে রেখেই ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে শুনানি নেওয়া হয়। আসামিদের পক্ষে জামিন আবেদন হলে তা নাকচ করেন বিচারক।
রিমান্ডের আবেদনও বিচারক নাকচ করে বলেন, আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে দুইদিন ধরে আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবেন তদন্ত কমর্কর্তা।
শুনানিতে তদন্ত কর্মকর্তাও উপস্থিত ছিলেন না। তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন বলে পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে। তবে আদালতে শুনানিতে এই তথ্যটি উপস্থাপিত হয়নি।
মিনহাজ মান্নানদের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন র্যাব-৩ এর ডিএডি আবু বকর সিদ্দিকে। তাতে ১১ আসামির বিরুদ্ধে ফেইসবুক ব্যবহার করে জাতির জনক, মুক্তিযুদ্ধ, করোনাভাইরাস মহামারী সম্পর্কে গুজব, সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার অভিপ্রায়ে অপপ্রচার বা বিভ্রান্তি ছড়ানো, অস্থিরতা-বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পাঁয়তারাসহ বিভিন্ন অভিযোগ আনা হয়।
আসামিদের মধ্যে বিদেশে থাকা ব্লগার আসিফ মহিউদ্দিন ও সাংবাদিক তাসনিম খলিলের নামও রয়েছে। অন্য আসামিরা হলেন- জুলকারনাইন, আসিফ ইমরান, স্বপন ওয়াহিদ, সাহেদ আলম ও ফিলিপ শুমাখার।
মামলার পর গত ৬ ও ৭ মে মিনহাজ মান্নান, কিশোর, দিদার ও মুশতাককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।