বিমান বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত এই গ্রুপ ক্যাপ্টেন রোববার দুপুরে ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান বলে বেবিচকের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
সাইফুল আজমের বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। পঞ্চম সংসদে তিনি পৈত্রিক এলাকা পাবনার একটি আসনে বিএনপির থেকে নির্বাচিত সদস্য ছিলেন।
সাইফুল আজম ১৯৮২ থেকে ১৯৮৪ এবং ১৯৮৭ থেকে ১৯৮৮ সাল পর্যন্ত বেবিচকের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন।
তার মৃত্যুতে বেবিচকের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
সাইফুল আজম সুজা ১৯৬০ সালে পাকিস্তান এয়ারফোর্সে কমিশন পেয়েছিলেন। স্বাধীনতার পর দেশে ফিরে আসার পর তিনি ১৯৭৭ সালে উইং কমান্ডার পদে উন্নীত হন। ১৯৭৯ সালে গ্রুপ ক্যাপ্টেন হিসেবে অবসর নেন তিনি।
সাইফুল আজম জর্ডান ও ইরাকে বৈমানিক হিসেবে কাজ করেছেন। যুদ্ধক্ষেত্রে বৈমানিক হিসেবে বীরত্বপূর্ণ অবদানের জন্য ২০১১ সালে যুক্তরাষ্ট্র বিমানবাহিনী তাকে ‘লিভিং ঈগল’ স্বীকৃতি দেয়।
১৯৬৭ সালে আরব-ইসরাইল যুদ্ধে সাইফুল আজম অংশ নিয়েছিলেন। ইসরায়েলি বিমান ভূপাতিত করাসহ যুদ্ধক্ষেত্রে অবদানের জন্য তাকে ইরাক ও জর্ডান সরকার বিশেষ সম্মাননা দিয়েছিল।
সাইফুল আজম এক সময় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করেপারেশন- এফডিসিরও ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন।
বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর সাবেক প্রধান এয়ার ভাইস মার্শাল ফখরুল আজম তার ভাই।