ব্যবহৃত সুরক্ষা সামগ্রীর ব্যবস্থাপনায় পদক্ষেপ নিতে উকিল নোটিস

করোনারভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধী সুরক্ষা সামগ্রী- মাস্ক, গ্লাভস, পিপিইসহ এ জাতীয় মেডিকেল বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে সরকারকে আইনি নোটিস দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবী।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 June 2020, 08:50 AM
Updated : 9 June 2020, 09:00 AM

মঙ্গলবার মো. জে আর খান (রবিন) নামের এই আইনজীবী ইমেইলে সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে নোটিসটি পাঠিয়েছেন।

তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “স্বাস্থ্য সচিব, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সচিব, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র এবং দুই সিটি করপোরেশনের প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তার কাছে নোটিসটি পাঠিয়েছি।

“নোটিস পাওয়ার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে এসব মেডিকেল বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ না নিলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

নোটিসে বলা হয়েছে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও দেশীয় বিশেষজ্ঞদের মতে এ ভাইরাস ব্যক্তি থেকে ব্যক্তি এবং এক জনগোষ্ঠী থেকে অন্য জনগোষ্ঠীতে সংক্রমিত হয়।

“এমনকি করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি ও তার সংস্পর্শে আসা ব্যক্তির ব্যবহৃত ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী থেকেও এ ভাইরাস সংক্রামিত হয়। কিন্ত দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্য কর্মীদের ব্যবহৃত সুরক্ষা সামগ্রী পিপিই, হ্যান্ড গ্লাভস, সার্জিক্যাল মাস্ক ব্যবস্থাপনা ছাড়াই সাধারণ বর্জ্যের সাথে যত্রতত্র ফেলা হচ্ছে। ফলে দিন দিন স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়ছে।”

কোভিড-১৯ রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের সামনেও পড়ে আছে গ্লাভস ও মাস্ক। ছবি: আসিফ মাহমুদ অভি

একটি সংবাদপত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে নোটিসে আরও বলা হয়েছে, করোনাভাইরাস সংক্রমণের পর দেশে প্রায় ১৪ হাজার ৫০০ টন বর্জ্য তৈরি হয়েছে।

তার মধ্যে রাজধানীতেই এক হাজার ৩১৪ টন সার্জিক্যাল হ্যান্ড গ্লাভস ও ৪৪৭ টন সার্জিক্যাল মাস্কের বর্জ্য তৈরি হয়েছে।

“এ ধরনের বর্জ্যের সঠিক ও যথাযথ ব্যবস্থাপনা না থাকায় পরিবেশগত ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে। পাশাপাশি পরিচ্ছন্নতাকর্মীসহ জনসাধারণের মধ্যে করোনাভাইরাস ছড়ানোর ঝুঁকিও তৈরি হচ্ছে। এটি কোনোভাবেই কাম্য নয়,” বলা হয়েছে নোটিসে।