ডিআইজি মিজানের ভাগ্নেকে জামিন দেয়নি ভার্চুয়াল  হাই কোর্ট

দুর্নীতির মামলায় সাময়িক বরখাস্ত পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমানের ভাগ্নে এস আই মাহমুদুল হাসানকে জামিন দেয়নি হাই কোর্ট।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 June 2020, 10:18 AM
Updated : 7 June 2020, 10:18 AM

রোববার বিচারপতি মো.নজরুল ইসলাম তালুকদারের ভার্চুয়াল বেঞ্চে শুনানির পর বিচারক আবেদনটি নিয়মিত বেঞ্চে পাঠিয়ে দিয়েছেন।

জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোতাহার হোসেন সাজু। দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান।

রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আমিন উদ্দিন মানিক।

আইনজীবী খুরশীদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আদালত আই মাহমুদুল হাসানকে জামিন না দিয়ে আবেদনটি নিয়ে নিয়মিত বেঞ্চে (আদালত খোলার পর) যেতে বলেছেন।”

অবৈধ সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে ডিআইজি মিজান, তার স্ত্রী সোহেলিয়া আনার রত্না, ভাই মাহবুবুর রহমান ও ভাগ্নে মাহমুদুল হাসানকে আসামি গত বছরের ২৪ জুন মামলা করেন কমিশনের পরিচালক মঞ্জুর মোর্শেদ।

মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে ৩ কোটি ২৮ লাখ ৬৮ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও ৩ কোটি ৭ লাখ ৫ হাজার টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়েছে।

মাহমুদুল হাসান ২০১৭ সালের ২৬ আগস্ট উপ-পরিদর্শক হিসেবে যোগ দেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, আসামী মিজানুর রহমান তার ভাগ্নে মাহমুদুল হাসানের নামে ২৪ লাখ ২১ হাজার ২২৫ টাকায় শুলশান-১ এর পুলিশ প্লাজা কনকর্ডে ২১১ বর্গফুট আয়তনের একটি দোকান বরাদ্দ নেয়।

মিজানুর রহমান নিজে নমিনি হয়ে তার ভাগ্নে মাহমুদুল হাসানের নামে ২০১৩ সালের ২৫ নভেম্বর একটি ব্যাংকে এফডিআর অ্যাকাউন্ট করে ৩০ লাখ টাকা জমা করেন।

তবে দুদক অনুসন্ধান শুরু করলে সে টাকা ভাঙ্গিয়ে সুদে আসলে ৩৮ লাখ ৮৮ হাজার ৫৭ টাকা তুলে ফেলেন। 

অভিযোগে আরও বলা হয়, মিজানুর রহমান তার স্ত্রী রত্না কাকরাইলে ১৭৭৬ বর্গফুটের একটি বাণিজ্যিক ফ্ল্যাট ক্রয়ে ২০১১ সালে চুক্তিনামা করে বিভিন্ন সময় ১ কোটি ৭৭ লাখ ৯৬ হাজার ৩৫০ টাকা নির্মাণ কোম্পানিকে পরিশোধ করেন। পরে ২০১৬ সালে ফ্ল্যাটটি ভাগ্নে মাহমুদুল হাসানের নামে দলিল রেজিস্ট্রি করেন।

এ মামলায় গত বছর ১ জুলাই হাই কোর্টে জামিন আবেদনের পর আদালত মাহমুদুল হাসানকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে আত্মসমর্পণ করতে নির্দেশ দেয়।

সে অনুযায়ী ৪ জুলাই নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চায় মাহমুদুল। ওই তার আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠিয়ে দেয় আদালত।

এরপর হাই কোর্টে জামিন চান মাহমুদুল।