মোহাম্মদ শাহজাহান নামে ওই ব্যক্তি গত ২৩ এপ্রিল গুলশান থানায় এই মামলা দায়ের করেন। তিনি ‘শাহজাহান শাহ ফতেহউল্ল্যাহ টেক্সটাইল মিলস লিমিটেড’ ও ‘জালাল আহম্মেদ স্পিনিং মিলের’ ব্যবস্থাপনা পরিচালক।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, একটি স্পিনিং মিল ও একটি টেক্সটাইল মিল কেনার জন্য গত সাত মাস ধরে তার সঙ্গে যোগাযোগ করে এনামুল এবং জানায় তার (এনামুল) কাছে পে-অর্ডারের অনেক টাকা রয়েছে।
এনামুল জানায় তার অনেক দিনের স্বপ্ন একটি স্পিনিং মিলের মালিক হওয়ার এবং তাদের মিল দুটি কেনার আগ্রহ প্রকাশ করে।
পরবর্তীতে তারা শাহ ফতেহ উল্ল্যাহ টেক্সটাইল মিলস লিমিটেড ও জালাল আহম্মেদ স্পিনিং মিলের মতিঝিলের অফিসে গিয়ে কারখানা দুটির মূল্য দুই হাজার কোটি টাকা ঠিক করেন।
মূল্য নির্ধারণের পর জরুরি প্রয়োজনের কথা বলে প্রথমে দুই লাখ টাকা নেন এনামুল এবং পরবর্তীতে মোট ২১টি পে-অর্ডার দিয়ে কয়েক দফায় মোট এক কোটি বিশ লাখ টাকা নিয়ে লাপাত্তা হয়েছে যায় তারা।
এক মাস আগে পুলিশ এই তিনজনকে গ্রেপ্তার করতে পারলেও তাদের কাছে থেকে কোনো অর্থ উদ্ধার করতে পারেনি।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আমিনুল ইসলাম শনিবার রাতে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, এনামুল করিব এই চক্রের মূলহোতা। বাকি দুজনকে সঙ্গে রেখে কাজে লাগায়।
“এসএসসিও পাশ করতে পারেননি এনামুল, কিন্তু কথাবার্তা আর ভাবভঙ্গিতে যে কাউকে বশ করতে পটু। এই ধরনের প্রতারণাই তার কাজ।
“বিভিন্ন স্থানে জমি বিক্রি হবে এমন সাইনবোর্ড থেকে নম্বর নিয়ে যোগাযোগ করে ঘনিষ্ঠতা গড়ে তোলে এবং পরে প্রতারণার মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নেয়।”
বসুন্ধরায় এই কোম্পানির জমি ছিল সেখান থেকে প্রথমে নম্বর নিয়ে মতিঝিল অফিসে যোগাযোগ করে এবং এই চক্রের ফাঁদে পড়েন শাহজাহান।
তাদের কাছে টাকা পাওয়া গেল না কেন জানতে চাইলে আমিনুল ইসলাম বলেন, “এই চক্র প্রতারণার মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নিয়ে চলাফেরা করে আর মানুষকে বশ করতে ভাবটাও থাকে সে রকম। তারা এক কোটি ২০ লাখ টাকা বিভিন্ন সময়ে নিয়েছে আর খরচ করেছে।
“জিজ্ঞাসাবাদে সবুজ নামে একজনের নাম পাওয়া গিয়েছে। সেই সবুজই তাদেরকে পে-অর্ডারের বিষয়ে জ্ঞান দিয়েছে এবং শিখিয়েছে কীভাবে পে-অর্ডার নকল করতে হয়। সেই সবুজের ঠিকানা পাওয়া গেছে এবং তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।”