গোয়েন্দা পুলিশ মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পেয়েছে জানিয়ে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ-কমিশনার (উত্তর) মশিউর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “মান্নানের ছেলেকে দালালরা লিবিয়ায় পাঠিয়েছে, কিন্তু তার সঙ্গে পরিবার যোগাযোগ করতে পারছে না। সে বেঁচে আছে না মারা গেছে, তাও স্পষ্ট নয়।”
লিবিয়ায় পাচারের শিকার ২৬ বাংলাদেশিকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় এর আগে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) একটি মামলা করে। গত ২ জুন পল্টন থানায় দায়ের করা ওই মামলায় মোট ৩৮ জনকে আসামি করা হয়।
গত ২৮ মে লিবিয়ার ত্রিপলি থেকে ১৮০ কিলোমিটার দক্ষিণের শহর মিজদাহতে ২৬ বাংলাদেশিকে গুলি করে হত্যা করে একদল মানব পাচারকারী ও তাদের স্বজনরা। ওই ঘটনায় চার আফ্রিকান অভিবাসীও নিহত হন।
ওই ঘটনায় বেঁচে যাওয়া একজনের বরাতে সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, উন্নত জীবিকার সন্ধানে ইউরোপ যাওয়ার জন্য লিবিয়ায় দুর্গম পথ পাড়ি দিচ্ছিলেন ৩৮ বাংলাদেশি। বেনগাজি থেকে মরুভূমি পাড়ি দিয়ে মানবপাচারকারীরা তাদের ত্রিপোলি নিয়ে যাচ্ছিল।
বৃহস্পতিবার ত্রিপলি থেকে ১৮০ কিলোমিটার দক্ষিণের শহর মিজদাহতে ওই দলটি লিবিয়ার মিলিশিয়া বাহিনীর হাতে জিম্মি হয়। তখন পাচারকারীরা আরও টাকা দাবি করে।
এ নিয়ে বচসার মধ্যে আফ্রিকার মূল পাচারকারীকে মেরে ফেলা হলে তার পরিবার এবং বাকি পাচারকারীরা এলোপাতাড়ি গুলি চালিয়ে ৩০ জনকে হত্যা করে, আরও ১১ জন আহত হন।
আরও পড়ুন: